পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● প্রবন্ধ-পাঠ । বিরলে বসিয়া পরিচিন্তন না করিলে তাহ ফলোপধারক নহে । সময়ে সময়ে সাংসারিক কাৰ্য্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করিয়াও বিজ্ঞ হইতে হয় । কারণ, জগতের ব্যবস্থা ও ব্যবহার দেখিয়৷ তামরা অনেক বিষয়ে শিক্ষা লাভ করিতে পারি । শাস্ত্র নানাবিধ। তন্মধ্যে কতকগুলির কেবল স্বাদগ্ৰহণ করিতে হয় ; কতকগুলি উদরস্থ করিতে হয় ; কতকগুলি বা চৰ্ব্বিত, রোমস্থিত ও জীর্ণ করিতে হয় । অর্থাৎ, কতকগুলি অংশতঃ পাঠ করিতে হয় ; কতকগুলির আদ্যন্ত পাঠ করা আবশ্বক ; এবং কতকগুলি প্রগাঢ় মনোনিবেশ পূৰ্ব্বক অধ্যয়ন ও তাহার অর্থবোধ করা সবিশেষ কর্তব্য । এরূপ কতকগুলি পুস্তক আছে যে কেবলমাত্র তাহার দীর সংগ্ৰহ করিয়া রাখিতে হয়। কিন্তু উচ্চশ্রেণীস্থ গ্রন্থ সকল মূল দেখিয়াই পাঠ করা উচিত। পরিক্ৰত জল ও পরিক্রত পুস্তক উভয়ই তুল্য, কারণ উভয়ই বিস্বাদ ও অতৃপ্তকর । বহুজ্ঞত-লভ শাস্ত্র মুশীলনের অন্ততম ফল । নানাশাস্তু পাঠে বহুদৰ্শী হয়, অস্তের সহিত আলোচনা করিলে উপস্থিত বক্ত। হয় এবং রচনাশক্তির বিলক্ষণ পরিপুষ্টি জন্মে। ভিন্ন ভিন্ন রূপ ব্যায়াম ও পরিশ্রম করিলে যেরূপ ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ পরিচালিত ও পরিপুষ্ট হয়, বিভিন্ন প্রকার শাস্ত্র অধ্যয়ন করিলে তাহার ফলও সেইরূপ বিভিন্নপ্রকার হইরা থাকে । পুরাবৃত্তপাঠে বিজ্ঞতা ও বহুদৰ্শিতা জন্মে। সাহিত্য-পাঠে বচন-চাতুৰ্য্য ও রচনা-নৈপুণ্য লাভ হয় । বিজ্ঞান-শাস্ত্র-পাঠে গাম্ভীৰ্য্য এবং নীতি-শাস্ত্র-পাঠে সুশীলতা ও ধৰ্ম্মজ্ঞান জন্মে। তর্ক-শাস্ত্ৰ-পাঠে বাদ-নৈপুণ্য ও বিচার-শক্তির সম্যক উন্মেষ হয়। চপল-চিত্ত