পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ই । প্রবন্ধ পাঠ | কাহারও সমুন্নতি লাভের সম্ভাবনা নাই । যাহার হীনাবস্থা হইতে আপনাদিগকে সমুন্নত করিয়া তুলিয়াছেন, অবিচলিত অধ্যবসায়ই র্তাহাদিগের একমাত্র অবলম্বন । বায়ু-বিক্ষোভিত উত্তাল-তরঙ্গময় বারিধি-বক্ষে সুদক্ষ নাবিক ভিন্ন অন্ত কোন ব্যক্তি যেরূপ অর্ণবপোত রক্ষা করিতে সমর্থ নহে, প্রতিকূল অবস্থায় পড়িয়া পুনঃ পুনঃ বিঘ্নবিহত হইলেও অধ্যবসায়শীল ব্যক্তি ভিন্ন অন্ত কেহ সেরূপ লক্ষ্যসাধন করিয়া আত্ম-রক্ষা করিতে সমর্থ হয় না। যাহা নিরস্তুর আমাদিগের প্রতিকূল, তাহাও অধ্যবসায় প্রভাবে অনুকূল হইয়া দাড়ায় । অনন্ত অধ্যবসায় থাকিলে দরিদ্র ধনী, মূৰ্খ পণ্ডিত এবং দুঃখীও সুখী হইয়া থাকে। শারীরিক বল বলবত্তার প্রকৃত চিহ্ল নহে ; মনস্বিতাই ইহার প্রধান পরিচায়ক। উদ্যমশীলতার তারতম্য অনুসারে পুরুষত্রেও ইতর বিশেষ হইয়া থাকে । যে ব্যক্তি বিল্লভয়ে কোন কাৰ্ঘ্যে প্রবৃত্ত না হয়, সে নীচ ও কাপুরুষ ; যে ব্যক্তি বিত্ন-বিহত হইয়া অারন্ধ কাৰ্য্য হইতে বিরত হয়, সে মধ্যম ও নিন্দনীয় পুরুষ ; কিন্তু যিনি বিপুল বিঘ্নবিপত্তি পাইয়াও ফলোদয় পৰ্য্যন্ত প্রারব্ধ কার্য্যে প্রলিপ্ত থাকিতে পারেন, তিনিই উত্তম ও মহাপুরুষ । “প্রতিভা না থাকিলে কোন কাৰ্য্যই সমাহিত হয় না”, ইহা অলস ও কাপুরুষের কথা । অধ্যবসায়ই প্রতিভার আবরণ খুলিয়া দেয়। চিরমলিন মণি শাণাশ্মঘর্ষণে যেরূপ উজ্জ্বলতা প্রাপ্ত হয়, জড়বুদ্ধিও অধ্যবসায় গুণে সেইরূপ প্রতিভাত হইয় থাকে। বাল্যকালে অধ্যবসায় অঙ্কুরিত হইলে, যৌবনে তাহ পুষ্পিত ও বাৰ্দ্ধক্যে তাহ অবশু ফলিত श्व ?