পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

えe প্রবন্ধ-পাঠ। এই নিখিল পরিদৃশুমান বিশ্ব-সংসার একটা সুবিস্তৃত কৰ্ম্ম-ক্ষেত্র। ইহাতে যিনি যেরূপ কৰ্ম্ম করিবেন, তিনি তদনুরূপ ফলভোগী হইবেন । যুবকগণ যখন অনুরাগ ভরে সংসারে প্রথম প্রবেশ করে, তখন চতুঃপার্থস্থ যাবতীয় বস্তু মনোরম বলিয়। বোধ হয়। চপলচিত্তত যৌবনের প্রধান সহচর ; এবং ংসারও নানাবিধ প্রলোভনে পরিপূর্ণ। যাহ। আপাত-মধুর অথচ পরিণাম-কটু, তাহাই তাহারা সুখসেব্য ও হিতকর বলিয়া গ্রহণ করে। তাহারা যৌবনমদে মত্ত হইয়া কোন বিষয়েরই প্রকৃত তত্ত্ব অনুসন্ধান করিতে সমুৎসুক নহে। তখন প্রমাদ, অবিবেক ও অবিমুয্যকারিত আসিয়া তাহাদিগকে গ্রাস করিয়া ফেলে । এরূপ অপরিণত অবস্থায় অলস, অনবহিত ও যথেচ্ছাচারী হইয়। চলিলে তাহাদিগের পদে পদে বিপদ ও ধ্রুববিনাশ অবশ্বাস্তাবী । সংসার-কাননে প্রবেশ কালে দুইটা পথ যুবকগণের নয়নগোচর হয় ; একটী সৎ-পথ ও অন্তটা অসৎ-পথ । সৎ-পথ সম্মুখভাগে সঙ্কীর্ণ, বক্র ও দুর্গম ; কিন্তু পশ্চাদ্ভাগে বিস্তীর্ণ, সরল ও সুগম। অসৎ-পথ পুরোভাগে প্রশস্ত ও দীপালোকে প্রদীপ্ত ; কিন্তু পশ্চাদ্ভাগে সঙ্কীর্ণ ও প্রগাঢ় অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন । অতএব অসৎ-পথ পরিত্যাগ করিয়া সৎ-পথ অবলম্বন করাই সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় । সৎ-পথে প্রচুর সম্পদ ও অসীম সুখ, এবং অসৎ-পথে বহুল বিপদ ও অশেষ দুঃখ। ঈশ্বর-চিস্ত যুবকগণের সর্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম । ঈশ্বরে প্রগাঢ় অনুরাগ জন্মিলে তদীয় নিয়ম-লঙ্ঘনের তত সস্তাবনা থাকে না। ঐশী ইচ্ছার বিরোধী ও স্বষ্টি-নিয়মের প্রতিকূল কাৰ্য্য করিলে প্রত্যবায় জন্মে, এরূপ শুভ সংস্কার ক্রমে ক্রমে