পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ $3 প্রবন্ধ-পাঠ । বিবেচনা করিয়া তাহার প্রচারার্থ তাহারা সমুৎসুক হয় ; এবং সামান্ত বিষয়ের জন্ত বহু আড়ম্বর করিয়া তুলে। নখাগে যাহা ছিন্ন হয়, তথায় তাহারা কুঠার প্রয়োগ করে ; এবং স্বচ্যগ্রে যাহা সুসম্পন্ন হয়, তথায় তাহারা ব্ৰহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করিতেও কুষ্ঠিত নহে। প্রাচীনের সকল কাৰ্য্যেই আপত্তি প্রকাশ ও পুরামর্শে বর্ষ ক্ষয় করেন ; এবং সামান্ত বিঘ্ন বিপত্তি দেখিলেই ভগ্নোৎসাহ ও ভগ্ন-প্রতিজ্ঞ হইয় পড়েন । তাহার। স্বয়লাভেই সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন । যদি নব্য ও প্রাচীন এই উভয়বিধ লোকের একত্র সমাগম হয়, তাহা হইলে সংসর্গ-বশতঃ উভয়ের দোষ পরাম্পর সংশোধিত হইয়| সকল কাৰ্য্যই সুচারুরূপে সম্পন্ন হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা। বিশেষতঃ যুবকের প্রবীনদিগের রীতি, নীতি ও আচার ব্যবহার দেখিয়া আপনাদিগের দোষ গুণ বিচার করিতে শিখে । এরূপ করিলে উত্তর ক{লে তাহারা সকল বিষয়েই পারদর্শী হইতে পরিবে । শৈশব যথানিয়মে অতিবাহিত না হইলে যৌবনও ভাস্বর হয় না, বাৰ্দ্ধক্যও অশেষ সুখের আলয় হইয় উঠে না । বর্ষায় বৃক্ষরোপণ ও বসন্তে মুকুলোদগম না হইলে নিদাঘে সহকার তরু ফলপ্রস্থ হইতে পারে না । ঈশ্বর চিন্তা, শাস্ত্রালাপ ও আত্মীয় বন্ধুর সহিত সহবাস বৃদ্ধকালের সর্বপ্রধান সহায় । ঈশ্বরচিস্তায় হৃদয় নিৰ্ম্মল ও চিত্ত পবিত্র হয় । চিত্ত-শুদ্ধি হইলেই শাস্তিস্থখের অধিকারী হইতে পারা যায় । পরমাত্মায় আত্মসমর্পণ করিয়া জীবনের শেষভাগ নিরুদ্বেগে অতিবাহিত করা অপেক্ষ মুখের বিষয় জার কি আছে! : শাআলাপে বুদ্ধকাল দুৰ্ব্বহ বলিয়া বোধ হয় না। সে