পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার ল্যাজ । নটবর অনুচরবর্গকে প্ৰস্তুত থাকিবার জন্য ইঙ্গিত করিলেন । রমেশচন্দ্ৰ সদলবলে তঁহাদের সমীপবৰ্ত্তী হইলেন। দারোগ বাবুকে দেখিয়া তিনি সহাস্তে বলিলেন, “কি দত্ত মহাশয়, আজ রাখীবন্ধনের দিনে এত পুলিস নিয়ে কোথায় চলেছেন ?” গাষ্ঠীর মুখে দারোগ বলিলেন, “মাপ করিবেন, রমেশ বাবু, আজ। আপনাদের বিরুদ্ধে একটা গুরুতর অভিযোগ উপস্থিত। তাই আমি আপনাকে দলবল সহ গ্রেপ্তার করিতে আসিয়াছি।” রমেশ বিস্মিতভাবে বলিলেন, “কি অভিযোগ দারোগ বাবু " “সে সব পরে জানিতে পরিবেন। এখন আপনার আমার বন্দী ।” রমেশ বলিলেন, “অপরাধ কি, না জানিতে পারিলে, আমি যাইব কেন ? বিশেষতঃ, গ্রেপ্তারী পরোয়ানাখানা ত দেখান ? বেআইনী কাজ করিলে লোকে আপনার কথা শুনিতে চাহিবে না । কেহ আপনার কাছে নালিশ করিয়াছে ?” নটবর বলিলেন, “আইন কানুনের কথা বিচারের সময় তুলিবেন। এখন আমি আপনাদের নিশ্চয়ই থানায় লইয়া যাইব । কোনও কৈফিয়ৎ এখন চাহিবেন না। আমরা পুলিসের লোক, সকলের সব কথার জলাব দিতে গেলে আমাদের চলে না। এখন গোলযোগ না করিয়া থানায় চলুন ।”

  • o &