পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার ল্যাজ । রমেশ মুহূৰ্ত্তমাত্র কি চিন্তা করিলেন। তার পর প্রফুল্লমুখে বলিলেন, “তা আমি যাইতেছি । কিন্তু আমিও যে আপনাকে আজ বন্দী করিতে আসিয়াছিলাম । আগে আমরা আপনাকে বাধি ।” * দারোগ চমকিয়া উঠিলেন। ব্যাকুলভাবে কনষ্টেবলগণের পনে চাহিলেন । তার পর দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “তামাস রাখুন, থানায় যাবেন কি না বলুন ?” বিনীতভাবে রমেশ বিলিলেন, “আমি তামাসা কবিতেছি। না, সত্যই আপনার সঙ্গে থানান্য যাইব । কিন্তু তাহাব পূৰ্ব্বে আমাদেরও কর্তব্য পালন করিতে চাই ।” রমেশ পীতবর্ণের একান্নাছি রেশমের রাখী বাহির করিলেন ; প্ৰশান্তস্বরে বলিলেন, “ভারতবর্ষের স্মরণীয় দিনে এই পবিত্র রাখী আপনাকে বঁাধিতেই হইবে।” উত্তরের প্রতীক্ষা না করিয়াই রমেশ দারোগ বাবুর দক্ষিণ হস্তের প্রকোষ্ঠে মন্ত্রপূত রাখী বাধিয়া দিলেন। সমবেত যুবকগণ পূর্ণকণ্ঠে “বন্দেমাতরম" ধ্বনি উচ্চারণ করিল। সেই প্ৰচণ্ড শব্দতরঙ্গে দত্ত মহাশয়ের আপত্তির ক্ষীণ শব্দ ডুবিয়া গেল। সঙ্গী চারি জন কনষ্টেবলের হন্তেও যুবকেরা রাখী বাধিয়া দিল । তােহাৱা কোনও আপত্তি করিল না । গ্রামের সকলকেই তাহারা চিনিত । যুবকদিগের এই অত্যাচারে দারোগ মহাশয় বিলক্ষণ চটিয়াছিলেন । কিন্তু নিস্ফল আক্ৰোশে কোনও লাভ `ა ი ხა