পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবী । মত বলিলেন, “অমিয়া, অমিয়া, আমার অপরাধের মার্জন নাই । তোমার সহিত যে নৃশংস ব্যবহার করিয়াছি, সংসারের কোন শাস্তিই তাহার উপযুক্ত নহে।” বলিতে বলিতে উচ্ছসিত আবেগে নরেন্দ্রের বাক্য রুদ্ধ হইল। ক্ষীণকণ্ঠে মিস বসু বলিলেন, “তুমি অপরাধী, এ কথা আমি কখনও মনে করি নাই ।” ধীরে ধীরে মিস বসু নরেন্দ্রের হস্তপাশ হইতে আপনার হস্ত বিমুক্ত করিয়া লইলেন । এমন সময় মৃণালিনী দুগ্ধ পাত্ৰ লইয়। ধীরে ধীরে কক্ষমধ্যে প্ৰবেশ করিলা । নরেন্দ্ৰ উঠিয়া দাড়াইলেন ; উত্তেজিত স্বরে পত্নীকে ডাকিয়া বলিলেন, “এস, আমার জীবনের যে গুঢ় মসীলিপ্ত অংশ তোমার কাছে লুকাইয়া রাখিয়াছিলাম, তাহা স্পষ্ট করিয়া দেখিয়া লাও । শুন মৃণাল, ইনি তোমার সপত্নী । বোধহয় শুনিয়া থাকিবে, পাঠ্যাবস্থায় আমার হিন্দুধৰ্ম্মের প্রতি আস্থা ছিল না । সেই সময় পিতার অজ্ঞাতসারে ইহাকে ব্ৰাহ্মমতে বিবাহ করিয়াছিলাম। অতুল সম্পত্তির লোভে পড়িয়া, বন্ধুদের পরামর্শে আমার দুর্বল মান টলিয়া গেল। সম্পত্তি হারাইবার ভয়ে, ও পিতার অভিপ্ৰায় মত এক ধৰ্ম্মপত্নীর বিনিময়ে আর এক ধৰ্ম্মপত্নী গ্ৰহণ করিলাম । কিন্তু মনের শান্তি জন্মের মত ঘুচিয়া গেল। তাই দেশ বিদেশে কক্ষচ্যুত উদ্ধার মত ঘুরিয়া বেড়াইয়াছি। আর আমার S ፄ ፩S