মন্তকের মূল্য। তোমার নৃশংস অত্যাচারে হিন্দু জর্জরিত হইতেছে। আমাকে ধরিবার জন্য যে পৈশাচিক ব্যাপার। চলিতেছে, তাহাতে নিরীহ হিন্দু, আমার স্বজাতি অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করিতেছে। তাই আর সহ হইল না। আমি ধরা দিতেছি ; এখন তোমার অত্যাচারের অবসান হউক ৷” আওরঙ্গজেবের আদেশে প্রহরীরা বিদ্রোহী যুবাকে বেষ্টন করিল। যুবক হাসিয়া বলিল, “যে স্বয়ং ধরা দিতে আসে, তাহাকে বন্ধন করায় বড় বীরত্ব ! আওরঙ্গজেবের সাহসকে ধন্যবাদ ” এই তীব্র শ্লেষে সম্রাটের হৃদয় জলিয়া উঠিল । তিনি সক্রোধে বলিলেন, “উদ্ধত যুবক, সাবধান ! তুমি রাজদ্রোহী, তোমার রাজদ্রোহের শাস্তি, প্ৰাণদণ্ড তাহা জান ?” উচ্চহাস্তে সভাতল মুখরিত করিয়া নিৰ্ভীক যুবক বলিল, “জীবনের মমতা থাকিলে মোগলের দরবারে আসিতাম না। ভ্ৰাতৃহন্তা মোগলের নিকট আমি দয়ার প্রত্যাশা করিয়া আসি নাই।” রূঢ়, নিৰ্ম্মম সত্যবাক্যে সম্রাটের মুখমণ্ডল ক্রোধে আরক্ত হইয়া উঠিল। তীব্ৰকণ্ঠে তিনি বলিলেন, "বিদ্রোহী সমরসিংহ, তোমার প্রাণদণ্ডের আদেশ দিলাম।” সভান্থ সকলেই এই নিষ্ঠুর আদেশে বিচলিত হইয়া উঠিল। বৃদ্ধ মন্ত্রী বলিলেন, “জাহাপান । বালকের প্রতি এরূপ "سابيع)) ما يعا