পাতা:মস্তকের মূল্য - সরোজনাথ ঘোষ.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । তিন দিনের হাসি ও বাণীর উদ্দীপনাপূর্ণ আনন্দসুরে একটা করুণ ঝঙ্কার তুলিয়া জগন্মাতা বাহক স্কন্ধে উঠিলেন। বন্ধুবর্গের উপরোপে পড়িয়া শশাঙ্ক বিসর্জন দেখিতে গিয়াছিল। পূজার ছুটতে এ বৎসরও বিহারীবাবু সন্ত্রীক শ্বশুরালয়ে আসিয়াছিলেন। তরুলতার সাধ, ভ্রাতুষ্পপুলটির মুখ দেখিয়া थी । প্ৰতিমা চলিয়া গেলে তরুলতা স্বামীকে বলিল, “চল না, ‘ভাসান দেখে আসি ? অনেকদিন বিসর্জন দেখি নাই।” বিহারীলালও বহুকাল বিজয়ার উৎসব দেখেন নাই, সুতরাং অত্যন্ত উৎসাহে তিনি প্ৰস্তুত হইলেন । তরুলতা বলিল, “ম, তুমি যাবে না ?” জননী বলিলেন, “না বাছা, তোরা দেখে আয়। বৌমাকেও নিয়ে যাস। বাছা আমার কোথাও যেতে পায় না ।” উৎসব দেখিতে দেখিতে সহসা শশাঙ্কের মনটা চঞ্চল হইয়৷ উঠিল। কোনও গতিকে বন্ধুবর্গের হস্ত হইতে পরিত্ৰাণ লাভ করিয়া সে রাত্রি আটটার সময় বাড়ী ফিরিয়া আসিল । জননীর আশীৰ্বাদ গ্ৰহণ করিয়াটি সে তাড়াতাড়ি শয়নকক্ষে げ。