পাতা:মহম্মদের জীবনচরিত্র ও মহম্মদীয় রাজ্যের পুরাবৃত্ত.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為b”8 হোসেনের মৃত্যু। আত্যক্তিক রৌদ্র হইলে হোসেন তৃষ্ণাতুর হইয়া মাধ্যাক্লিক প্রার্থনা করিয়া তৃষ্ণ নিবারণের আশাতে ফরাৎ নদীর তীরে দৌড়িতে লাগিলেন। পথিমধ্যে অনেক ২ বিপক্ষকে নষ্ট করণনিস্তর যখন তিনি জলপান করিতেছিলেন, তখন শত্রুর র্তাহাকে ঘেরিয়া বধ করিল। তাহার শরীর তেত্রিশ তীরেতে বিদ্ধ ও চৌত্ৰিশ অস্ত্রাঘাতে আহত হইয়াছিল, এবং তঁাহীর সহিত আক্রমণকারি ছয় জন হত হইয় পড়িল। অনস্তুর জয়ির তঁহার শিরচ্ছেদন করিয়া তাহার গাত্র পদতলে দলিত ও তাহার অবশিষ্ট পরিজনগণকে ধরিয়া শৃঙ্খলে বদ্ধ করিল। তথাপি কিছু কাল পরে কৰ্মলার নিকটস্থ মেষেদ হোসেন নামক স্থানে তাহাকে কবর দেওয়া গেল । র্তস্থার মুণ্ড । দম্মেষক নগরে প্রেরিত হইয়াছিল। হোসেন মহম্মদের দৌহিত্র ছিলেন, এই ক্রেতুক অনেক লোক তাহার মরণে মহা বিলাপ করিল, এবং তাহার মৃত্যুর স্মরণার্থে অদ্যপি মহম্মদীয় মহরম নামক মাসের দশম দিনে বার্ষিক পৰ্ব্ব পালন করে । হোসেনের প্রতি পারস্য দেশীয় মুসলমান লোকদের ভক্তি অতি আশ্চৰ্য্য। তাহারা বলে, হেলেনের শোকে যে নেত্রজল নির্গত হয়, তাহ শিশিতে সঞ্চয় করিয়া ঔষধৰূপে ব্যবহার করাতে অনেক মৃতকপ লোক আরোগ্য পাইয়াছে। এবং অনেকে কৰ্ব্বলীতে কবর দিবার নিমিত্তে জাপন ২ মৃত বন্ধুর শব শব্ণবস্ত্রে, বান্ধিয়া অশ্বের পৃষ্ঠে করিয়া সহস্র ২ ক্রোশ দূরবৰ্ত্তি স্থানহইতে তথায় লইয়া যায়। আর কৰ্মলা প্রায় মক্কার মত প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান হইয়াছে। এবং হোসেনের কবরের মৃত্তিক নানা রোগনিবারক ঔষধৰূপে বহুমুল্যে বিক্রয় হয় ।