পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১১ দশম পরিচ্ছেদ কিছুতেই আর গোপনে থাকিতে পারিবেন না। ” এই সিদ্ধান্ত দৃঢ় বিশ্বাস করিয়া তাহারা সমবেত জনমণ্ডলীকে উত্তেজিত করিলেন । তাহাতে দুৰ্দান্তস্বভাব লোকেরা আঘাত-প্ৰাপ্ত বিষধর ন্যায় ক্ৰোধে তৰ্জ্জন-গৰ্জ্জন করিয়া ঋষিবরকে অকথ্য কটক্তি করিতে লাগিল এবং তৎপক্ষসমৰ্থনকারী ও তাহার মতাবলম্বী সাধুদিগকে বিকৃতস্বরে বিদ্ৰুপ ও বাক্যবাণ বৰ্ষণ করিতে আরম্ভ করিল। তাহাতেও আশা পূৰ্ণ না হওয়ায় পরস্পর ইঙ্গিতানুসারে সেই নিরীহ ব্যক্তিগণকে সজোরে প্ৰস্তরাঘাত পূৰ্ব্বক ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল । ঘোর অরাজকতা উপস্থিত, বিড়ম্বনার একশেষ হইল ; অনাচার-অত্যাচার পূৰ্ণমাত্ৰায় চলিতে লাগিল । মার-ধর-সূচক হুহুঙ্কার নাদে যেন প্ৰবল বাত্যার সৃষ্টি হইল । এদিকে অদৃশ্য যবনিকার অন্তরালে থাকিয়া এই বীভৎস কাণ্ড দৰ্শনে তপঃসিদ্ধ মনসুর আর সহ্য করিতে পারিলেন না । একের পরিবর্তে অপরের নিগ্ৰহ, অপমান ও দণ্ডভোগ ! ইহা প্ৰকৃতই অন্যায়—তাহার উহা ভাল লাগিল না । তাই তিনি তদণ্ডে প্ৰেমপূৰ্ণ ‘আনাল হক্‌’ শব্দে প্ৰান্তর প্রতিধ্বনিত করিয়া —অত্যাচারী জনগণের অন্তর কঁপাইয়া আবার সকলের দৃষ্টি সীমার মধ্যে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । অমনি সেই নিলাজ দুষ্টমতিগণ সক্ৰোধে তাহার উপর প্রস্তর বর্মণ করিতে লাগিল । ইহা দেখিয়া তিনি ত্বরিতপদে শূলাস্ত্ৰের নিকট উপস্থিত হইলেন । তখন চতুৰ্দ্দিক হইতে বৰ্ষার বারিপাতের ন্যায় মহৰ্ষির