পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩ দশম পরিচ্ছেদ রোগের উপশম হইবে । মূৰ্খতা ! ক্ষুদ্ৰ ক্ষুদ্র রক্তকণা কিন্তু িক হইতে যে শব্দের অবিরল উথান, মহৰ্ষির দেহ অসংখ্য অংশে বিভক্ত করিলেও কি তাহা নিবৃত্ত হইবার সম্ভব ? ফলতঃ উপশম হওয়া দূরে থাক, উত্তরোত্তর উপসৰ্গর বৃদ্ধিই হইতে চলিল । কি জানি কোন শক্তিপ্ৰভাবে সেই অগণিত মাংসখণ্ড হইতে সমস্বরে ‘আনাল হক্‌’ শব্দোথিত হইয়া দশ িদক প্ৰতিধ্বনিত করিল ; সহসা যেন প্ৰবল ঝটিকায় শান্ত সাগর তরঙ্গায়িত হইয়া। উঠিল । পরিণাম আরও যে কি ভয়ানক হইবে, তাহাই ভাবিয়া সকলে চমকিত, অবাক্ ও ভয়বিহবল ৷ প্ৰধান পক্ষীয়দের মুখ স্নান—কণ্ঠ শুদ্ধ হইয়া গেল। পরন্তু ঘটনার অলৌকিকত্ব ও মহিমা এত দূর দেখিয়া-শুনিয়াও কাহারও চৈতন্যোদয় হইল না —কেহ দৈব কাৰ্য্যের বিপক্ষতা করিতে ক্ষান্ত হইল না । হায় এতদপেক্ষা অজ্ঞানতা ও অনাচার আর কি হইতে পারে ? হায় কি আক্ষেপ ! তৎকালের সেই উন্মত্ত জনমণ্ডলীর হৃদয় কোন উপাদানে গঠিত ছিল ? তাহাতে কি কোমলত্বের কণামাত্ৰও ছিল না ? দয়া-স্নেহ-করুণা-মমতার ছায়া ও কি তাহাতে কখন পতিত হয় নাই ? ধৰ্ম্মের আদেশ পালন করিতে গিয়া অবশেষে যাহা অধৰ্ম্ম,— নিতান্ত নিষিদ্ধ পাপ কৰ্ম্ম, তাহাও সম্পাদিত হইতে চলিল। শরিয়তের—ইসলাম-ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের দৃঢ়-বিশ্বাসী আলেম গণের মতানুসারে সকলে এক স্থানে পৰ্ব্বতপ্ৰমাণ পাকার করিয়া কাষ্ঠ স্থাপন করিয়া তাহাতে অগ্নিসংযোগ করিয়া দিল । দেখিতে দেখিতে লক্ লক্ জিহ্বা বিস্তার করিয়া ধূ-ধূ শব্দে ভয়াবহ