পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাষ মনসুর ১২8 বিভাবসু জ্বলিয়া উঠিল । তখন সেই সমুদয় মাংসখণ্ড ও রক্ত রঞ্জিত মৃত্তিকা সেই সৰ্ব্বসংহারক অনলকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হইল । অহো ! মহৰ্ষির খণ্ডিত দেহ ভস্মাকারে পরিণত হইতে চলিল । এই বার সমস্ত যন্ত্ৰণার শেষ —অাপদের শান্তি হইবে , লোকে বুঝিল । কিন্তু সকলই নি ফল—সকলই নিরর্থক ; কিছুতেই কিছু হইল না, কোন চেষ্টাই ফলবতী হইল না । ছিন্ন অবয়বসমূহ ভস্মাকারে পরিণত করিতে প্ৰচণ্ড হুতাশনের সাহস হইল না—মাংসরাশি কিছুতেই পুড়িল না । অধিকন্তু হিতে বিপরীত ঘটিল ! সেই নিষিদ্ধ ‘অনাল হক্‌’ শব্দের আবার প্রসার বাড়িয়া গেল। সেই ধ্বনি প্ৰদীপ্ত অনল ও তজাত ভস্ম হইতেও ঘন ঘন উথিত হইতে লাগিল। কি জ্বালা ! এত করিয়াও এ বিপদের নিরাকরণ নাই । সকলের অাপদমস্তক জ্বলিয়া উঠিল, হতাশে হৃদয় ভাঙ্গিয়া গেল । তাহাদের প্রতি কেশৱন্ত হইতে যেন অগ্নিস্মৃলিঙ্গ বাহির হইতে লাগিল । অবশেষে সকলে দারুণ ক্ৰোধের বশে সেই সব মাংসখণ্ড ও ভস্মাদি দেশান্তরিত করুণাৰ্থ পরামৰ্শ করিয়া নদীগৰ্ভে নিক্ষেপ করিল। উহা ‘আনাল হক্‌’ শব্দে সৈকতভূমি কঁপাইয়া, বারি রাশি মাতাইয়া স্ৰোতাবেগে আকুল পাথারে ভাসিয়া চলিল । এক্ষণে বলুন দেখি পাঠক ! এ জগতে সৰ্ব্ববাপেক্ষা বলবান কি ? উত্তর—নিয়তি-লিপি । নিয়তি-লিপি অবিচল— অনিবাৰ্য্য।

  • কেহ কেহ বলেন, মহৰ্ষির খণ্ডিত দেহ ভক্ষ্মীভূত হইয়াছিল। কিন্তু একখানি

বিস্ত গ্ৰন্থ তাহার মহিমময় দেহ ভক্ষ্মীভূত হয় নাই বলিয়া বৰ্ণিত অাছে। আমরা তাহাই বিশ্বাস্য বলিয়া গ্ৰহণ করিলাম ।