পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

// । তা স্থাপিত ১৩৫২ সাল রিম্ভেদ বিদ্যাবিশারদ গভীর-তত্ত্বজ্ঞ সাধুকুল-শ্ৰেষ্ঠ সৈয়দ খাজা জুনেদ শাহ কতৃক দীক্ষাপ্রাপ্ত হইয়া হোসেন মনসুরের ধৰ্ম্মানু রাগ ও জ্ঞানান্বেষণ-বাসনা অত্যধিক পরিমাণে পরিবদ্ধিত হইল । তাহার চিত্তভূমি প্লাবিত করিয়া সৰ্ব্বাঙ্গ হইতে যেন স্মিগোজল বিদুল্লহরী আবিভূতি হইতে লাগিল । জ্ঞানের পূণ বিকাশ হওয়াতে তিনি নশ্বর জগতের মোহময় মায়াজাল ছিন্ন করিয়া আপনাকে ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্ৰ বলিয়া বিবেচনা করিতে লাগিলেন, অথবা আমি এ মর-জগতের কিছুই নহি বলিয়া তাহার জ্ঞান হইতে লাগিল । ফলতঃ অচিরকাল মধ্যে তিনি দেশ মধ্যে এক জন পরম তত্ত্বদশী ভাবুক বলিয়া পরিগণিত হইলেন । সমগ্ৰ খ্যাতনামা পণ্ডিত ও ধৰ্ম্মপরায়ণ ব্যক্তি মনসুরের এই অভাবনীয় পরিবর্তন ও অচিন্ত্যনীয় কাৰ্য্যকলাপ দৰ্শনে বিস্মিত হইয়া নীরবে মস্তক অবনত করিলেন । আবালবৃদ্ধবনিতা ভক্তি ও শ্ৰদ্ধা সহকারে তাহার পবিত্ৰ নামোচারণ করিয়া সম্মান প্ৰদৰ্শন করিতে লাগিল । তাহার শিক্ষাৰ্থীর সংখ্যাও কম হইল না । অবিনশ্বর ধন পরমতত্ত্ব অবগত হইবার বাসনায় বহুসংখ্যক লোকের নিত্যসমাগম হইতে লাগিল ; অনেকে অহৰ্নিশ তদীয় পদ-সেবায় নিযুক্ত । কিন্তু তিনি নিরন্তর নেত্ৰযুগ নিৰ্মীলন করিয়া স্থিরচিত্তে বাহ্যজ্ঞান-বিরহিত হইয়া কি এক গভীর চিন্তায়