পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৰ্ষি মন্‌সুর পরিবর্তনের ন্যায় সহসা কি যেন এক ঐন্দ্ৰজালিক অপূৰ্ব্ব ব্যাপার সংঘটিত হইয়া গেল। ভাবিয়া কিছুই বুঝিবার উপায় নাই । কুটবুদ্ধি প্ৰহরিগণও এ ব্যাপারে ম্ৰিয়মাণ—সংজ্ঞাহারা । পরে তাহাদের চৈতন্যোদয় হইলে, “হায় কি হইল, কোথায় গেল, কোথায় গেলে মনসুরকে পাইব, খলিফা শুনিলে কি বলিবেন তাহার উত্তর করিব, হায়, না কঠোর শাস্তি সম্মুখে িক জানি িক গ্ৰহণ করিতে হইবে। এত লোকের হস্ত হইতে পলায়ন ! ছিছি ! কি লজার কথা, কি অপমানের বিষয় ! কি করিয়া রাজ-দরবারে এ পোড়া মুখ দেখাইব ? দেশদেশান্তরের লোক এ কথা শুনিলেই বা কি বলিবে! হায় হায়, এমন বিপদে কেহ তো কখন পড়ে নাই!” ইত্যাকার অনুতাপ-বাক্যে মহা হুলস্থল বাধাইয়া দিল । কেহ কিঞ্চিৎ মৌখিক সাহস দেখাইয়া কহিল, “ওরে ভাই ! ভাবিয়া কি হইবে ; আর ভয়ই বা কিসের ? আমরা তো আর মনসুরকে সাধ করিয়া ছাড়িয়া দিই নাই ! সে যে একটা ভয়ানক যাদুগীর, সকলেই জানিয়াছে সে মায়াবী ! মায়া-বিদ্যার বলে যাহার ‘গায়েব’ (অদৃশ্য) হইবার শক্তি আছে, তাহাকে আমরা কেন ? জগতের সমস্ত রাজশক্তি একত্ৰ হইলেও শাসনে রাখিতে পারে কি না সন্দেহ । অতএব সকলে চল, খলিফার দরবারে গিয়া এ কথা জানাই । আর তিনিই কি ইহা অবগত নহেন ?” অনেকের কিন্তু এই সাহসের বাক্যে মন আকৃষ্ট হইল না ; তাহারা হতাশমলিনমুখে মস্তকে হাত দিয়া অবশাঙ্গে বসিয়া পড়িল, খুজিয়া কুল-কিনারা পাইল না।