পাতা:মহর্ষি মনসুর - মোজাম্মেল হক.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১ ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ এক মস্তক কেন ? আজ যদি এই দীনাতিদীন দাসের লক্ষ মস্তক থাকিত, তাহা হইলে প্ৰভুর নিৰ্দেশ-মত এই দণ্ডেই জগৎ-প্ৰীতি-জনন সেই বিশ্ববিভুর কাৰ্য্যে সাদরে উৎসৰ্গ করিয়া । এ দাস কৃতাৰ্থ ও ধন্য হইত । হায় ! এই বসুন্ধরাতলে এমন সম্মানিত সৌভাগ্যবান পুরুষ কে আছে, যে ব্যক্তি জন্ম-মৃত্যু রক্ষণ-ভূত আল্লার পথে আত্মজীবনোৎসৰ্গ করিয়া পারলৌকিক শ্ৰেয়ঃ লাভ সহ তদীয় প্রিয় হইতে পারে ? যদি প্ৰণয়ীর জন্য প্ৰাণ যায়, যদি প্ৰিয়ভাজন বান্ধবের বিপদে বিপন্ন হইয়া আত্মবিনাশ ঘটে, তবে তাহা অপেক্ষা শুভদৃষ্ট ও সুখের বিষয় এ জগতে আর কি আছে ? প্ৰেম করার নাম আত্মবলিদান, ইহা অামি বিলক্ষণৰূপে হৃদয়ঙ্গম করিয়াছি । যে প্ৰেমিক আত্ম বলিদানে অসমৰ্থ, যে প্ৰেমিক প্ৰেম-সঙ্কটে মস্তক ছেদিত হইবে বলিয়া বিচলিত ও ভয়-বিহবল, সে কখন প্ৰেমিক নহে, প্ৰেম কিরাপে করিতে হয়, সে জানে না ;—সে ভণ্ড, সে শঠ, সে ছদ্মবেশী ধূৰ্ত্ত !” জগদগুরু হজরত মোহাম্মদ মহামতি মন্‌সুরের এইরুপ সদুত্তর শুনিয়া সৰ্ব্ব-সমক্ষে তাহার অকৃত্ৰিম ও ঐকান্তিক ঐশিক প্রেমিকতার ভূরি ভুরি যশোকীৰ্ত্তন করিলেন ।** অকস্মাৎ মন্‌সুরের নিদ্ৰাভঙ্গ হইল, জড়তা কাটিল ; সঙ্গে সঙ্গে দেব-সভাও নয়নের ব্যবধানে পড়িয়া গেল । তিনি

  • ঋষিবয়ের এই স্বপ্ৰবৃত্তান্তের তাৎপৰ্য্য-ব্যাখ্যা কোন কোন মহাত্মা এইরুপ

করিয়াছেন । স্বপ্নদৃষ্ট বস্ত্ৰাবাসটা জগৎস্ৰষ্টার প্রিয় ও পরম পবিত্ৰ বাহা ইসলাম ধৰ্ম্মস্বরুপ