সুযোগ ঘটিল, তখন আমি তাঁহাকে বলিলাম, রুটির সহিত চা অথবা ঘি বা অন্য কিছু পাওয়া উচিত। তখন উনি বলিলেন “তুমি ত ইহা মুখে স্বাদের জন্য চাহিতেছ, জেলে তাহা পাওয়া যাইবে না”।
এইবার জেলের খাদ্যের কথা। জেলের নিয়ম অনুযায়ী ভারতীয় কয়েদিদের প্রথম সপ্তাহে নিম্নলিখিত খাদ্য দেওয়া হইত।
সকালে—বার আউন্স ভুট্টার আটার লপ্সি, —ঘি বা চিনি না দেওয়া।
দ্বিপ্রহরে—বার আউন্স চাউল ও এক আউন্স ঘি।
সন্ধ্যায়—চার দিন ১২ আউন্স ভুট্টার আটার লপ্সি, ও তিন দিন ১২ আউন্স ভাজা চাল এবং
নুন, কাফ্রিদের যে খাদ্য দেওয়া হইত, তাহার উপর এই ব্যবস্থা করা হইয়াছিল।
শুধু এই প্রভেদ যে তাহাদের ধূলা মিশ্রিত ভুট্টা ও চর্ব্বি দেওয়া হইত,কিন্তু
ভারতবাসীব তাহার পরিবর্ত্তে চাউল পাইত।
দ্বিতীয় সপ্তাহে ও তাহার পরে সর্ব্বদাই ভুট্টার আটার সহিত দুই দিন সিদ্ধ আলু ও দুই দিন অন্য কিছু সব্জী কোহড়া প্রভৃতি দেওয়া হইত। যাহারা মাংস খাইত, দ্বিতীয় সপ্তাহ হইতে প্রতি শনিবার তাহারা তরকারির সহিত মাংস পাইত।
যাঁহারা প্রথমে আসিয়াছিলেন তাহারা স্থির নিশ্চয় করিয়াছিলেন যে তাঁহারা সরকারের কাছে কোন প্রকার সুবিধা প্রার্থনা করিবেন না। যে খাওয়া পাওয়া যায় তাহতেই চালাইবেন। সকল দিক বিবেচনা করিলে পূর্ব্বোক্ত খাদ্য, ভারতবাসীর উপযুক্ত, এটা বলা যায় না। কাফ্রিদের ত ভুট্টা নিত্য খাদ্য ছিল, সুতরাং ইহাতে তাহাদের খুবই সুবিধা হইতে পারিত এবং তাহা খাইয়া তাহারা জেলে বেশ হৃষ্টপুষ্টই হইত। কিন্তু চাউল ছাড়া আর কিছুই ভারতবাসীর উপযোগী মনে হয় না। অতি অল্প ভারতবাসীই