পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
কারাকাহিনী।

রোগী।

 আমাদের দেড়শত কয়েদীর মধ্যে যদি একজনেরও অসুখ না হইত তাহা হইলে আশ্চর্য্য হইবার কথা হইত বটে। আমাদের মধ্যে মিঃ সমুন্দর খাঁ প্রথম রোগী। তিনি যখন জেলে আসিয়াছিলেন, তখনই তাঁহার অসুখ, তিনি হাসপাতালে গেলেন। মিঃ কডবার সন্ধিবাতের রোগ ছিল। তিনি অনেক দিন জেলের মধ্যেই মলম ইত্যাদি ঔষধ ডাক্তারের নিকট হইতে লইলেন। কিন্তু পরে তিনি হাঁসপাতালে গেলেন। দুইজন কয়েদীর মাথাঘোরা রোগ ছিল। তাহারাও হাসপাতালে গেলেন। সেখানকার বাতাস বড় গরম। কয়েদীদিগকে রৌদ্রে পড়িয়া থাকিতে হইত। তাহাতে কাহারও কাহারও মাথা ঘুরিত। তাহাদের সেবা শুশ্রুষা যথেষ্ট হইত। শেষাশেষি মি: নবাব খাঁও অসুখে পড়িলেন। ডাক্তার তাঁহাকে দুধ ইত্যাদি দিবার আজ্ঞা দিলেন। তখন তিনি কিছু সারিয়া উঠেন। যাহা হউক, আমাদের সত্যাগ্রহী কয়েদীদের স্বাস্থ্য মোটের উপর ভালই ছিল।

স্থানের অল্পতা।

 আমি প্রথমেই বলিয়াছি, যে কুঠুরীতে আমাদের রাখা হইয়াছিল তাহাতে মাত্র ৫১ জনের জন্য স্থান ছিল। বারান্দাও এতগুলি লোকের উপযুক্ত ছিল। কিন্তু যখন ৫১ জনের পরিবর্ত্তে ১৫১ জনেরও বেশী কয়েদী হইল তখন আমাদের অতি কষ্টে পড়িতে হইল। গভর্ণর বাহিরে ঘর তুলিয়া দিলে অনেক কয়েদী সেখানেই থাকিতে লাগিল। শেষাশেষি ১০০ জন