পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কারাকাহিনী।
৪৯

 ইহার কিছুক্ষণ পরেই গভর্ণর আসিলেন, আমি তাহাকে সমস্ত কথা বলিলাম। তিনি কাঁকর ভাঙ্গিতে যাইবার আদেশ দিলেন না, বলিলেন, “তোমার সেখানে যাইবার কোনই দরকার নাই, কালই তোমাকে বোকসরষ্ট যাইতে হইবে।”

ডাক্তারী পরীক্ষা

 বোকসরষ্টের জেলটি ছোট, এই জন্য এখানে কতকগুলি সুবিধা মিলিত যাহা জোহান্সবর্গে পাওয়া যাইত না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যাইতে পারে, এখানে মিঃ দাউদ মহম্মদ ওভৃতি কয়েকজনকে পায়জামা পরিতেও দেওয়া হইত, মিঃ রস্তমজী, মিঃ সোরাবজী, মিঃ সাপ্রুকে নিজেদের টুপি পরিতে দেওয়া হইত। কিন্তু জোহান্সবর্গ জেলে আরও একটি অসুবিধা ছিল। সেখানে যখন কয়েদী প্রথম ভর্ত্তি হইত, তখন ডাক্তার পরীক্ষা করিতেন। উদ্দেশ্য, যদি কোনও কয়েদীর সংক্রামক রোগ থাকে, তবে তাহাকে ঔষধ দেওয়া ও পৃথক করিয়া রাখা হইবে। সুতরাং মাঝে মাঝে কয়েদীর পরীক্ষা হইত। অনেকেরই চুলকানি ইত্যাদি ছিল। কয়েদীদের দেহ উলঙ্গ করিয়া সর্ব্বাঙ্গ পরীক্ষা করা হইত। ডাক্তারের সময় কম বলিয়া কাফ্রিদের ত’ ১৫ মিনিট পর্যন্ত সকলকেই নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করাইয়া রাখা হইত। ডাক্তার কাছে আসিলে ভারতবাসিদিগকে জাঙ্গিয়া খুলিতে হইত। প্রায় সকল ভারতবাসীই জাঙ্গিয়া খুলিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিতেন—অনেকে সত্যাগ্রহের অনুরোধে চুপ চাপ করিয়া থাকিলেও মনে মনে নিশ্চয়ই কষ্ট পাইতেন। ডাক্তারকে এ বিষয়ে বলিলাম, তিনি কয়েকজনকে ষ্টোরের ভিতর লইয়া গিয়া পৃথক্ পৃথক্ পরীক্ষা করিলেন, কিন্তু সর্ব্বদা এরূপ করিতে