পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
কারাকাহিনী।

অস্বীকার করিলেন। এসোশিয়েশন্এ বিষয়ে লেখালেখি করিয়াছিল, এবং ব্যাপারটা আজ পর্যন্ত (১৯০৮) বিচারাধীন রহিয়াছে। এ বিষয়ে একটা প্রতীকার করা উচিত। বহুদিন ধরিয়া যে রীতি চলিয়া আসিয়াছে তাহা হঠাৎ বদলানের দরকার নাই, তবু এ বিষয়ে বিচার করা উচিত। পুরুষদের পক্ষে না হয় খুব বেশী প্রয়োজন নাই হইল, তাই বলিয়া নিজকে এরূপ ভাবে পরীক্ষা করিতে দেওয়ার পক্ষেও খুব যুক্তি নাই। অবশ্য, মিথ্যা লজ্জার কারণ কিছু নাই। যদি মন পবিত্র থাকে, তবে এরূপ নগ্নতার মধ্যে লজ্জার কি আছে? জানি, আমার এই মত প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছেই বিচিত্র বলিয়া মনে হইবে। তথাপি, এ বিষয়ে গভীর চিন্তার প্রয়োজন। আর এ বিষয়ে আপত্তি করায় আমাদের সত্যাগ্রহধর্ম্মের ক্ষতি হইবে। আগে ত’ ভারতীয় কয়েদীর মোটেই পরীক্ষা হইত না। একধার ২।৩ জন ভারতবাসী রোগ থাকা সত্ত্বেও বলিয়াছিল যে তাহাদের কোন রোগ নাই; ডাক্তারের সন্দেহ হওয়ায় ডাক্তার পরীক্ষা করেন, তখন রোগ ধরা পড়ে। সেই সময় হইতে ডাক্তার, ভারতবাসীদেরও পরীক্ষা করিবেন স্থির করিয়াছেন। ইহাতেই বোঝা যায়, অধিকাংশ স্থলে আমরা নিজেরাই বিপদ ডাকিয়া আনি।

জোহান্সবর্গ হইতে প্রত্যাগমন।

 ৪ঠা নভেম্বর আমি আবার বোকসরষ্ট জেলে ফিরিয়া আসিলাম। এবারও আমার সঙ্গে একজন দারোগা ছিল, পোকও কয়েদীর মত ছিল, এবার আমাকে পায়ে না হাঁটাইয়া, গাড়ীতে করিয়া ষ্টেশনে আনা হইল, কিন্তু টিকিট ছিল তৃতীয় শ্রেণীর, দ্বিতীয় শ্রেণীর নয়। পথে খাইবার জন্য