পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

K· মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী।. স্থানের ব্রাহ্মসমাজে গম্বন করিয়া ব্ৰাহ্মগণের জীবনের অবস্থা অনুসন্ধান করিতে এবং তঁহাদিগের ধৰ্ম্মজীবনগঠনে যথাসাধ্য সহায়তা করিতে7 লাগিলেন । তথ্যহাতে দেখিতে পাইলেন, অধিকাংশ স্থানে ব্ৰাহ্মগণ কেবল সপ্তাহান্তে উপাসনা করেন ; কিন্তু প্ৰতিদিন উপাসনা করেন • না ; এবং পৌত্তলিকতার সহিত তাহদের সম্পূর্ণ যোগ রহিয়াছে। এমন কি, অনেক স্থানের ব্ৰাহ্মগণ গোস্বামী মহাশয়কে উপবীত-ত্যাগী বলিয়া গৃহে স্থান দিতেও কুষ্ঠিত হইলেন। কেহ কেহ তাহাকে গৃহে স্থান"দিয়া সমাজ-চু্যত হইলেন। তিনি যেখানে গমন করিতেন, সেখানেই যাহাতে ব্ৰাহ্মগণ প্ৰতিদিন উপাসনা করেন, এবং পৌত্তলিকতাকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করেন তদ্বিষয়ে আলোচনা করিতেন । তাহার আলোচনা ও বক্তৃতায় অল্পদিনমধ্যে পূৰ্ব্ববাঙ্গালার অনেক স্থানে সংস্কার ও পরিবর্তনের সূচনা হইল । ঢাকা, বরিশাল প্ৰভৃতি স্থানের ব্ৰাহ্মগণ ‘পৌত্তলিকতার সংস্রব’ পরিত্যাগ করিয়া একমাত্ৰ ঈশ্বরের শরণাপন্ন হইলেন। পূৰ্ব্ববাঙ্গালার অনেক স্থানে ধৰ্ম্মান্দোলন উত্থিত হওয়াতে সঙ্গ তসভার প্রতিষ্ঠা হইয়া নিয়মমত আলোচনাদি হইতে লাগিল ; অনেকে প্রতিদিন নিয়মিতরূপে ভক্তিভাবে উপাসনাদি করিয়া ধৰ্ম্মজীবনের পথে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। পূৰ্ব্ববাঙ্গালার প্ৰাচীন লোকেরা বলিয়াছেন,-“গোস্বামী মহাশয় দ্বারা উক্ত প্রদেশে যেরূপ ধৰ্ম্মপ্রচার হইয়াছে এমন আর কাহারও দ্বারা হয় নাই । তিনি ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল প্ৰভৃতি স্থানে বিশেষভাবে ধম্মান্দোলন প্রজ্জ্বলিত করিয়া তুলেনু” এই সময়ের কাৰ্য্য সম্বন্ধে একজন পত্রিপ্রেরক লিখিয়াছেন ঃ-“দলে দলে লোক নামে ব্ৰাহ্ম হইতেছিলেন, কিন্তু তাহারা কাৰ্য্যতঃ ব্যভিচার ও ধৰ্ম্মহীনতার সমর্থনা করিতেন। তঁাহারা সপ্তাহান্তে উপাসনায় আসিতেন,