পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । ৰাধিক করিবার চেষ্টা করা নিম্প্রয়োজন । ধৰ্ম্ম কখনও লোকদিগকে সুখী করিতে পারে নাই ; উহা কেবল অশান্তি ও অসদ্ভাব আনয়ন করে। (৩) ব্যভিচার সুরাপান ইত্যাদি। যখন সভ্য-সমাজে দৃষ্ট হইতেছে তখন উহ উঠাইবার যত্ন করা নিম্প্রয়োজন। ( ৪ ) পাপপুণ্য বলিয়া কিছু নাই, যাহাতে সুখ-স্বচ্ছন্দতার বৃদ্ধি, তাহাই পুণ্য, তদ্বিপরীত filtør |?? বক্তা এইরূপ আসার বাকচাতুৰ্য্যে সময় কৰ্ত্তন করিতেছেন দেখিয়া শ্ৰোৰ্তাদের মধ্যে অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন ; এবং জমিদার শ্ৰীযুক্ত জগদীশনারায়ণ চৌধুরী মুন্সেফ বাবুকে নিরস্ত হইতে ও গোস্বামী মহাশয়কে তঁহার বক্তব্য বলিতে অনুরোধ করিলেও মুন্সেফ বাবু নিরস্ত হইলেন না ; বরং কর্কশ ভাষায় গোস্বামী মহাশয়কে লক্ষ্য করিয়া তিরস্কার করিতে লাগিলেন । ইহার পর তথাকার সিভিলসার্জন শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণধন ঘোষ ( ডাঃ কে, ডি, ঘোষ ) গোস্বামী মহাশয়কে তিরস্কার করিয়া বক্তৃতা করিলেন । এই সব কারণে উপস্থিত সভ্যগণের সঙ্গে মুন্সেফ বাবুর প্রায় হাতাহাতির সম্ভাবনা হওয়ায় সভা ভঙ্গ হইল । অতঃপর শ্ৰীযুক্ত জগদীশ নারায়ণ চৌধুরী গোস্বামী মহাশয়ের বক্তৃতার মাধুৰ্য্যে ও ধৰ্ম্মভাবে আকৃষ্ট হইয়া তাহাকে নিজগৃহে আহবান করেন ; এবং ৩১ শে শ্রাবণ র্তাহার গৃহে “ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের সহিত অন্যান্য ধৰ্ম্মের সম্বন্ধ নিরূপণ” সুচক উপাসনা ও বক্তৃত হয়। এইদিন উপাসনার সময়ও বিরুদ্ধাচারীরা হাসি, বিদ্রুপ, মুখভঙ্গী প্ৰভৃতি সহকারে যথাসাধ্য প্ৰতিবন্ধকতা করিয়াছিল, কিন্তু “যে মহাত্মা উপাসনা কাৰ্য্যের ভার গ্ৰহণ করিয়াছিলেন তিনি কোন প্ৰকার বিস্ত্ৰদ্ধারা ব্যতিব্যস্ত হইবার লোক নহেন। এইজন্য উপাসনার অঙ্গগুলি যথানিয়মে निरीश् छहेरठ श्रद्रिव्न ।'