পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মাধৰ্ম্ম প্রচার । Sect র্তাহার বক্তৃতার সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম এইরূপ —“মনুম্ভের প্রকৃতিই ধৰ্ম্ম । ঈশ্বর মানুষ্যের প্রকৃতিতে গতীররূপে ধৰ্ম্মভাব অঙ্কিত করিয়া রাখিয়াছেন । যতদিন মনুষ্য ও মনুষ্যহীদয়। বর্তমান থাকিবে, ততদিন তাহার ধৰ্ম্মও থুকিবে। ঈশ্বর, পরকাল, ভক্তি, শাস্তি, জ্ঞান, কৃতজ্ঞতা, দয়া, আশা, কামনা প্রভৃতিই মনুষ্যের প্রকৃতি ; এবং এই গুলিই তাহার ধৰ্ম্ম । কোন মনুষ্য এই প্ৰকৃতি বা ধৰ্ম্মকে বিনষ্ট করিতে পারে না । কখনও মনুষ্য প্ৰকৃত নাস্তিক হইতে পারে না ; তাহার প্রকৃতিই তাহাকে বলপূর্বক ঈশ্বরের দিকে লইয়া যায় । যাহারা অনবরত পাপ করে, তাহারা ঈশ্বরের কথা মনে করিতেও ভয় পায় ; এই নিমিত্ত মনে করে। ঈশ্বর হইতে দূরে অবস্থান করাই ভাল। কিন্তু যাহার চক্ষু সৰ্ব্বতঃ প্রসারিত, অন্ধকার রজনীতে লুকায়িত হইয়া পাপ করিলেও যিনি দেখিতে পান তাহাকে প্রতারণা করা যায় না । মনুস্য যখন বিপদে পতিত হয়, যখন পিতামাতা বন্ধু বান্ধব পৃথিবীর কোন লোকের দ্বারা উপকার পাইবার তাহার। আশা থাকে না, যখন চতুর্দিক ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন দেখে তখন কোথায় দয়াময় বলিয়া চীৎকার করিয়া উঠে । অতএব মানবের ধৰ্ম্মভাব বিনষ্ট হইবার নহে। মনুষ্যের ধৰ্ম্ম নিত্য ও সত্য, সহজ ও স্বাভাবিক। ধৰ্ম্মালোচনা না। করিলে কিম্বা পুনঃ পুনঃ পাপাচরণ করিলে ধৰ্ম্মভাব মলিন হইতে পারে; কিন্তু একেবারে বিলুপ্ত হয় না। এই স্বতঃসিদ্ধ প্ৰাকৃতিক ধৰ্ম্মই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম । মনুষ্য সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের সৃষ্টি হইয়াছে। জ্ঞান, ভক্তি, কাৰ্য্য এই সকল অঙ্গ দ্বারা ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম পূর্ণ ধৰ্ম্ম বলিয়া অভিহিত। যাহা সত্য তাঁহাই ধৰ্ম্ম । যাহা ধৰ্ম্ম তাহাই ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম । ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মই পূর্ণ ধৰ্ম্ম, অন্য ধৰ্ম্মে পূর্ণতা নাই। অন্য ধৰ্ম্মে যে সত্য আছে তাহ ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মেরই অংশ। এজন্য ব্ৰাহ্ম সর্বত্র হইতে সত্য গ্ৰহণ করিবেন । যিনি যে পরিমাণে