পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীব্র ব্যাকুলত । 332 এমন ভাগবস্তুক্ত সাধুপুরুষদিক্ষের সম্বন্ধেই উক্ত হইয়াছে ;—“কুলং , পবিত্রং জননী কৃতাৰ্থ, বসুন্ধরা পুণ্যবতী চ তেন।” বঙ্গভূমি ধন্য যে, বিজয়কৃষ্ণের ন্যায় পুত্ররত্ন বক্ষে ধারণ করিয়াছিলেন 1, নবম পরিচ্ছেদ । d --ത്ത- ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার ও যোগ সাধন । ধৰ্ম্মজীবনে মানব প্ৰাণে এমন একটী অবস্থার উদয় হয়, যে অবস্থায় প্ৰাণ ভগবানের জন্য নিতান্ত অধীর হইয়া পড়ে ; তঁাহাকে ভাল করিয়া না পাওয়া পৰ্য্যন্ত কিছুতেই শান্ত হয় না। অত্যন্ত পিপাসাৰ্ত্ত ব্যক্তির জলান্বেষণের ন্যায়। এই অবস্থায় ধৰ্ম্মপিপাসু ব্যক্তি সর্বত্র তাহার অন্বেষণ করেন ; মনুষ্য, পশু, পক্ষী, নদ, নদী, পৰ্ব্বত, চন্দ্ৰ, সূৰ্য্য, তরু, লতা সকলই তখন তাহার শিক্ষাস্থল হয়; সকলের দ্বারেই তিনি ধৰ্ম্মার্থ হন । গোস্বামী মহাশয়ের ধৰ্ম্মপিপাসা এই প্রকারের । তিনি যদিও, অনেক সময় হৃদয়নাথকে দর্শন করিয়াছেন, প্রীতি-পুষ্পাঞ্জলি দ্বারা। র্তাহার অৰ্চনা বন্দনা করিয়া ভূমানন্দের আস্বাদ পাইয়াছেন, তবুও র্তাহার হা হুতাশ যায় নাই, তবুও তঁাহার। আৰ্ত্তনাদ কাতরতা দূর হয় নাই । কারণ র্তাহাকে দীর্ঘকাল হৃদয়ে রাখিতে পারেন না । মন মাঝে মাঝে যেন কোথায় পলায়ন করে । কিন্তু সুধা-সাগরে একবার নিমজ্জিত হইয়া আবার ভাসিয়া কে সুখী হইতে পারে ? ভূমানন্দের আস্বাদ একবার পাইয়। কে তাহ ছাড়িয়া দূরে থাকিতে পারে ?