পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રેર8 মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । বস্তুতঃ “যে ছেলে যত খায় সে ছেলে তত লালায়।” এই জন্যই ত নিমাই “কৃষ্ণরে বাপরে কোথা গেলিরে” বলিয়া চীৎকার কঁরিয়া কঁাদিয়াছিলেন ; বন্ধুর ভূমিতে দেহ লুষ্ঠিত করিয়া ক্ষত বিক্ষত হইয়াছিলেন। “একবার র্যাহাকে দেখিয়াছি তাহাকে ভাল করিয়া সম্ভোগ, করিতে চাই । ভক্ত যোগী যে প্ৰেমাস্পদকে হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করিয়া চিরদিনের তরে আনন্দ সাগরে ডুবিয়া থাকেন তাহাকে ভাল করিয়া হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করিতে চাই ।” গোস্বামী মহাশয়ের বর্তমান সময়ের ব্যাকুলতার ইহাই কারণ । তিনি যাহার সংসর্গে পৃথিবীতেই স্বৰ্গসুখ সম্ভোগ করিলেন কিরূপে তাহার সঙ্গ স্থায়ী হইবে, এখন ইহাই তাহার লক্ষ্য হইল । ভাবিলেন ;—“নিরাপদ ভূমি না পাইলে আমার ত কিছুই পাওয়া হইল না ; মহাসিন্ধুর গভীর নীরে নিমজ্জিত না হইলে আমার জ্বালা দূর হইল না ।” এই চিন্তায় সমাজপ্রিয়তা, বন্ধুজনপ্রিয়তা, স্বজনপ্রিয়তা সকলই তঁাহার নিকট অতি তুচ্ছ বোধ হইল। বলিলেন ;— “আমি হিন্দুসমাজও চাই না, ব্ৰাহ্মসমাজও চাই না, খৃষ্টান সমাজও চাই না । আমি কোন দলাদলিই চাই না। কেবল সেই প্রাণের | দেবতাকে চাই ৷’’ এই আকাজক্ষা তাহাকে লোক-নিন্দ ও লোকপ্ৰশংসা হইতে নিম্মুক্ত করিল। অনন্যমতি হইয়া সেই এক অনন্যগতির অনুসন্ধানে আরও অভিনিবিষ্ট হইলেন। বলিলেন ;-“তোরা বল আমার সে কোথায় ? তোরা যে গালি দিস, তোরা কি বলতে পারিস আমার অন্তরে কি জ্বালা ? যদি না পারিস। তবে তােরা যত বলিস ধল আমার প্রাণ কিছুতেই সুস্থ হবে না।” বলিলেন ; – “সংসারে কেহই আমার নয়। পুরাতন বন্ধুদিগের নিকট যদি আমাকে বিক্রয় করিতাম, তবে আমি এখন কোথায় দাড়াইতাম ? তবে আমার কি