পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসাধন গ্ৰহণ ৷ ” ১২৩৫ বসিয়া রহিয়াছেন । দেখিয়া তাহার মন ভক্তিতে বিগলিত এবং বিস্ময়ে পূর্ণ হইল। তিনি তাহাকে অবনতমস্তকে প্ৰণাম করিয়া অঙ্গত ভাবে রোদন করিতে লাগিলেন। তখন উক্ত মহাপুরুষ তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া তাহাকে নিকটে আহবান করিলেন ; এবং পিতা যেমন সস্তানকে ক্ৰোড়ে ধারণ করে তেমনি তঁহাকে ক্ৰোড়ে । লইয়া বসিলেন । ইহাতে তিনি সম্পূর্ণ মন্ত্রমুগ্ধ হইয়া ফ্যাল। ফ্যাল করিয়া তঁহার দিকে দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। সাধু এই অবস্থায় তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে করিতে শক্তিসঞ্চার করিয়া সাধন ও উপদেশ দিলেন । ( ১২৯০ সন, ১৮০৫ শক, ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দ, আষাঢ় মাস ) । সাধন পাইয়া সাধুকে ভক্তিভারে প্রণাম করিতেই র্তাহার বাহ্যজ্ঞান বিলুপ্ত হইল ; আজ্ঞানাবস্থায় কতক্ষণ চলিয়া গেল র্তাহার কোন জ্ঞান রহিল না। ইতিমধ্যে সাধু তথা হইতে প্ৰস্থান করিলেন । অবশেষে চেতনার সঞ্চার হইলে ব্যাকুল হইয়া তাহার অনেক অনুসন্ধান করিলেন, কিন্তু কোথায়ও দর্শন পাইলেন না ; আশ্রমে ফিরিয়া আসিলেন । ইহার কিছুদিন পরে অন্য একদিন অপর কোন পাহাড়ে ভ্ৰমণ করিতে করিতে তাহার দর্শন পাইলে সাধু তাহার হস্ত ধারণ করিয়া বলিলেন ;-—“ঘাবরাও মত, ভজন কর, বখতমে সব মিল যায়েগা ।”—অধীর হাইও না, ভজন কর, যথাসময়ে সমস্তই প্ৰাপ্ত হইবে । এইরূপ আশ্বাস বাক্যে র্তাহার। প্ৰাণে বল আসিল, তিনি উৎসাহের সহিত মন্ত্রের সাধন কি শরীর পতন এই ভাবে সাধনায় প্ৰবৃত্ত হইলেন ; এবং কিছুদিন আকাশগঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান করিলেন । এই সময় কোন গহবরে কয়েক দিন তাহার সমাধির অবস্থায় অতিবাহিত হইয়াছিল, এই সময়ও তাহার গায়ে একটী বড় সাপ উঠিয়াছিল।”