পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । তাহার শুরু নানকপহী এবং পরমহংসজী নামে পরিচিত ছিলেন । ইনি মানস সরোবরে অবস্থান করিতেন ; এই সময় আকার্শগঙ্গা, পাহাড়ে আসিয়াছিলেন । আকাশগঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান কালে গোস্বামী মহাশয় একদিন তঁহার ব্ৰহ্মচারী বন্ধুর সঙ্গে নিকটস্থ বরাবর পাহাড়ে গমন করেন। } এই পাহাড়ের গুহা সকল সাধু সন্ন্যাসীর তপস্যা স্থান । এই স্থানে এক ভৈরবের সঙ্গে তাহার সাক্ষাৎ হয় । ভৈরব সৰ্ব্বশরীরে মসি লেপন করিয়া এবং মুখে সিন্দুর মাখিয়া বীভৎসমৃত্তিতে দণ্ডায়মান ছিলেন । তাহাদিগকে দেখিবামাত্ৰ প্ৰস্তর নিক্ষেপ করিতে আরম্ভ করিলেন । তাহারা তাহাতে ভীত না হইয়া স্তুতি করিলে একখণ্ড নরমাংস প্ৰসাদ দিলেন ; তঁাহারা উহা গ্ৰহণ করিলেন না ; কিঞ্চিৎ ফল গ্ৰহণ করিলেন । তৎপর সাধু দর্শনের অভিপ্ৰায় প্রকাশ করিলে ভৈরব তাহাদিগকে লইয়া কোন প্রশস্ত গুহায় প্রবেশ করিলেন। তথায় চারিজন সাধু ধ্যানস্থ ছিলেন । দিব্যাবসানে তঁাহাদের ধ্যান ভঙ্গ হইলে তঁাহারা স্নানাদি করিয়া ভৈরবকে অভ্যাগতদিগের বিষয় জিজ্ঞাসা করিলেন । ভৈরব বলিলেন ;-হঁহারা আপনাদিগকে দর্শন করিতে আসিয়াছেন । তৎপর তঁাহারা উক্ত মহাপুরুষদের নিকট ধৰ্ম্মোপদেশ লাভ করেন । উক্ত উপদেশের মৰ্ম্ম এইরূপ :- ‘ধৰ্ম্ম এক, গম্য পথ ও এক । লোকের রুচি অনুসারে নানা মত নানা পথ । গম্য স্থানে উপনীত হইলে আর ভেদজ্ঞান থাকে না । দেখুন আমরা এই চারিজন পূর্বে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পথে চলিতাম। এক জন রামাৎ, একজন নানকপন্থী, একজন কাপালী, আর আমি অঘোষ্ট্ৰী। পূৰ্ব্বে আমাদের মধ্যে মিল ছিল না ; বরং ঘোর বিরোধ ছিল। পথে চলিতে চলিতে যখন আমরা গাম্যস্থানে অর্থাৎ সত্যগৃহে উপস্থিত হইলাম,