পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসাধন গ্ৰহণ । ३७१ ।। তখন দেখি যে আমরা চারিজিন এক *স্থানে আসিয়াছি। ख्यांদের সমস্ত डिलझछ रुढिलश গিয়াছে । ভেদজ্ঞানে হৃদয়ে যে ক্লেশ৷ ভোগ করিতাম। এখন সে ক্লেশ নাই। যতদিন গম্যস্থানে উপনীত না হওয়া যায় ততদিনই মতভেদ, দলাদলি, সম্প্রদায়।” দীক্ষার পর নানাস্থানে বহু সাধু সন্ন্যাসীর সঙ্গে তঁাহার নানাপ্রকার ধৰ্ম্মলাপ হয়। তৎপর তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্ৰহণ করিয়া সংসার পরিত্যাগে অভিলাষী হন । কিন্তু তঁহার গুরুর অভিপ্ৰায় অনুসারে তঁাহাকে স্ত্রী পুত্ৰাদিপরিজনসহ ব্ৰাহ্মসমাজে অবস্থান করিতে হয়। * ইহার পর তিনি গেরুয়া পরিয়া সন্ন্যাসীর বেশে কলিকাতা ফিরিয়া অসিলেন + তাহার এইরূপ পরিচ্ছদ দর্শনে বন্ধুদের অনেকের মনে এই কারণে ভয় জন্মিতে লাগিল ; — “বুঝিবা ব্ৰাহ্মসমাজ ছাড়িয়া সন্ন্যাস গ্ৰহণ করেন ।” কলিকাতায় তিনি অনেক সময় রামকৃষ্ণ পরমহংস মহাশয়ের নিকট গমন করিতেন। পরমহংস অন্তৰ্দশী মহাপুরুষ ; তিনি ইহাকে পূৰ্ব্ব হইতেই বিশেষরূপে জানিতেন; ইহাকে দেখিলে তাহার ভাবসিন্ধু উথলিয়া উঠিত ; তিনি আত্মহারা হইয়া যাইতেন । একদিন তঁাহার একখানা হাত ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল । একজন বন্ধু বলিলেন ;—“আপনি জীবন্মুক্ত, এই যন্ত্রণা ভুলিতে পারিতেছেন না ? উত্তর করিলেন ;-- ‘তোদের সঙ্গে কথা বলিয়া ভুলিব, তোদের বিজয়কে আন । তাকে দেখিয়া আমি আপনাকে ভু’লে যাই।” একদিন ভক্ত বিজয়কৃষ্ণ পরমহংস মহাশয়ের নিকট গিয়া ভাবে মগ্ন হইয়া হেটমুখে বসিয়া আছেন, -- - - as

  • আশাবতীর উপাখ্যান এবং শিষ্যগণ হইতে সংগৃহীত।
  • উহার কোন শিষ্য বলিয়াছেন তিনি কোন পরমহংসের প্রীতি চিহ্ন স্বরূপ

•গেরুয়া পরিধান আরম্ভ করেন ।