পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৪ঃ মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। উপাসনার ঘণ্টা পড়িল ; অসংখ্য লোকের মধ্যে গোস্বামী মহাশয় বেদী হইতে উপাসনা আরম্ভ করিলেন ; মুহুর্তে স্বৰ্গ হইতে অমৃত বর্ষণ হইতে লাগিল। তাহার প্রত্যেকটি কথা কত দীনতায় পূর্ণ হইয়া, কত আশা উৎসাহের কারণ হইয়া সকলকে মত্ত করিয়া তুলিতে লাগিল । সে কথা যে না শুনিয়াছে সে কিরূপে বুঝিবে ? সেরূপ করুণামাখা হৃদয়দ্রাবকারী কথা আর কোথায় শুনিব ? সেই পাষাণ দ্রবকারী কথা যে শুনিয়াছে তাহারই হৃদয় গলিয়া গিয়াছে । তৎপর যখন কীৰ্ত্তন আরম্ভ হইল। তখন এক প্ৰবল ভাব-তরঙ্গে মন্দিরের অসংখ্য লোক কাদিয়া অধীর হইল। অশ্রুধারায় আচাৰ্য্য, উপাসক, দর্শক সকলের বুক ভাসিয়া গেল। বৃদ্ধ কাদিতেছে, যুবক কঁদিতেছে, পুরুষনারী সকলে মিলিয়া কি এক মধুর কথা শুনিয়া, কি এক স্বর্গের সমাচার শুনিয়া কাদিয়া আত্মহারা হইয়াছে। সেদিন সমাজমন্দিরে স্বৰ্গ অবতীর্ণ হইয়াছিল। কাহার সাধ্য সে দৃশ্য দেখিয়াও মনকে কঠিন করিয়া রাখিতে পারে ? সেদিন পাষাণ প্ৰাণও গলিয়া গিয়াছিল, পাপাস ভক্ত চিত্তও ইহলোকেই স্বৰ্গ দর্শন করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়াছিল। ধন্য! ধন্য! ধন্য!” । ফিকিরর্চাদের কীৰ্ত্তন যে কেবল সমাজ বাড়ীতেই হইয়াছিল। তাহা নয় ; তঁাহার কীৰ্ত্তন শুনিয়া ঢাকাসহর এরূপ মত্ত হইয়া উঠিয়াছিল যে অনেকে তঁাহাকে স্বস্ব গৃহে আহবান করিয়া তঁহার কীৰ্ত্তন শুনিয়াছিলেন। ঢাকার উৎসবের পর গোস্বামী মহাশয় কলিকাতা হইয়া দ্বারভাঙ্গা উৎসবে গমন করেন ; সেখানেও খুব কীৰ্ত্তন ও উপাসনা হয়। তৎপর মজঃফরপুর গিয়া ‘‘আৰ্য্যধৰ্ম্ম’ সম্বন্ধে বক্তৃতা করেন ; বক্তৃতায় প্ৰতিপন্ন করেন যে, “আৰ্য্যেরা একেশ্বরবাদী ব্ৰহ্মপূজক ছিলেন।” এখানেও উপাসনা, কীৰ্ত্তন, আলোচনা হয় । পুনরায় দ্বারভাঙ্গা হইয়া মতিহারী