পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার । 384 উৎসবে গমন করেন ; এখানে সাত আন্ট দিন অবস্থান করিয়া সমাজে ও ভিন্ন ভিন্ন পরিবারে উপাসনা কীৰ্ত্তনাদি করেন। ইহার পর মুঙ্গের ও জামালপুরে প্রচার করেন ; শেষোক্ত স্থানে ‘ধৰ্ম্ম কি? এই বিষয়ে বক্তৃতা করেন, বক্তৃতায় প্ৰতিপন্ন করেন যে, “পরমেশ্বর স্বয়ংই ধৰ্ম্ম, তাহাকে আত্মাতে লাভ না করিলে আত্মাতে ধৰ্ম্মের বিকাশ হইতে পারে না।” জামালপুর হইতে থৈপাড়া ( হুগলি ) গ্রামে গমন করেন ; এখানে কোন পরিবারে উপাসনা, আলোচনা ও কীৰ্ত্তন হয় । তৎপর কোন্নগর গিয়া উৎসবে উপাসনা, আলোচনা করেন । এখানে খুব কীৰ্ত্তন হয়। ইহার পর কলিকাতা, শান্তিপুর, বাগেরহাট গমন করেন ; বাগেরহাটো “মানুষের প্রাণ অনন্তকেই চায়” এই বিষয়ে বক্তৃত হয় ; এবং পল্লীতে পল্লীতে ঘুরিয়া কীৰ্ত্তন ও আলোচনা করেন ; ইহাতে স্থানীয় লোকের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ জন্মিয়াছিল। এখান হইতে বরিশাল গিয়া দুই সপ্তাহ অবস্থান করেন ; প্ৰতিদিন দুই বেলা উপাসনা, আলোচনা ও কীৰ্ত্তন হয়। এখানে নববর্ষের উৎসবে ( ১২৯৩ সন ১লা বৈশাখ ) উপাসনা, আলোচনা ও কীৰ্ত্তন করেন এবং “ভারতে ধৰ্ম্মান্দোলন” বিষয়ে বক্তৃতা দেন । বরিশাল হইতে মাদারীপুর গিয়া চার পাঁচ দিন অবস্থান করেন ; বক্তৃতা, উপাসনা, আলোচনা, নগরসংকীৰ্ত্তন ও ছাত্ৰীসভায় উপদেশ প্রদত্ত হয় । এখান হইতে মাণিকদহ গিয়া উপাসনা, আলোচনা ও কীৰ্ত্তন করেন ; এবং কাকিনার জমিদার শ্ৰীযুক্ত মহিমারঞ্জন রায়ের আহবানে তথাকার মন্দির প্রতিষ্ঠার উৎসবে গমন করেন ; কাকিনার উৎসব জমাটভাবে সম্পন্ন হয় । তৎপর কলিকাতা আসিয়া কয়েক দিন সামাজিক উপাসনা করেন ; এবং পুনরায় মাণিকদহ হইয়া ঢাকা প্রত্যাগমন করেন। মাণিক দহে অবস্থান কালে তঁাহার ভক্তি ও