পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগসাধন সম্বন্ধীয় মত । “সাধনের ভিতরের তত্ত্ব অর্থাৎ জাগ্ৰত প্রার্থনা উপদেশ দ্বারা শিক্ষা দেওয়া অসম্ভব । কিন্তু যেমন শরীরে শরীরে মনে মনে স্বাভাবিক সম্বন্ধও সহানুভূতি আছে। তদ্রুপ আত্মায় আত্মায়ও সহানুভূতি আছে। যেরূপ আচাৰ্য্যের সত্য প্রার্থনা উপাসকদিগের প্রাণ স্পর্শ করে ও তাহাদের প্রাণে জাগ্ৰত প্রার্থনার উদয় করিয়া দেয়, সেইরূপ কেহ। প্ৰকৃত ব্যাকুলতার সহিত ঐ প্রার্থনার অবস্থা আপনার প্রাণে অবতীর্ণ করিবার জন্য ইচ্ছক হইলে কোন জাগ্ৰত শক্তিশালী পুরুষ নিজের ইচ্ছা শক্তিতে ও ভগবানের কৃপাসিস্তুত নিয়মানুসারে নিজের আভ্যন্তরীণ প্রার্থনার অবস্থা তাহার প্রাণে সংক্রামিত কুরিয়া দিতে পারেন। বস্তুতঃ ও তাঁহাই হয়। যিনি নিতান্ত ব্যাকুল প্ৰৈিণ প্রার্থ হন, আমি সমস্ত প্ৰাণের সহিত তাহার সম্মুখে প্রার্থনা করি ; এবং এই সময়ে আমার পূজনীয় গুরু শ্ৰীযুক্ত পরমহংস বাবাজি সাহায্য করিয়া থাকেন। ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি হইলে অল্পক্ষণের মধ্যেই ঐ ব্যক্তির হৃদয়ে সেইরূপ প্রার্থনা জাগ্রত হয় ; এবং তঁহার অন্তনিহিত যোগশক্তি প্রস্ফুটিত হয়। ইহা তিনি ভিন্ন অন্য কেহই বুঝিতে পারেন না। তৎপর যিনি যে পরিমাণে ব্যাকুলতা ও নিষ্ঠার সহিত সাধন করেন তিনি ততই গভীর হইতে গভীরতর তত্ত্ব প্রত্যক্ষ করিয়া আশ্চৰ্য্য হন।” “এই সাধনে পাণ্ডিত্য, বিদ্যা, বুদ্ধি চাই না ; ধনী, দরিদ্র, বিদ্বান, মুখ, স্ত্রী, পুরুষ, হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, ব্ৰাহ্ম, পৌত্তলিক বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে কেহ বৰ্ত্তমান অবস্থায় তৃপ্ত না হইয়া যোগ প্ৰাপ্তির জন্য ব্যাকুল হন, এবং যতদিন প্ৰকৃত অবস্থা লাভ না করেন। ততদিনের জন্য সাধন সম্বন্ধীয় নিয়মগুলি তেঁাহার বিবেক বিরুদ্ধ না হইলে প্ৰতিপালন করিতে প্ৰতিশ্রুত হন। তিনিই এই সাধন গ্ৰহণ করিতে পারেন ।” “প্রার্থনা করিতে করিতে পবিত্রতার আধার পরমেশ্বর কৃপা করিয়া,