পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মস্বরূপ প্ৰকাশ করিলে সমস্ত অজ্ঞানত শুষ্কতা মলিনতা দূৰ্ব হয়। কোন ধৰ্ম্মসাধন অবলম্বন করিব মাত্ৰই কেহ উদ্ধার হয় না। সাধনের পরিণত অবস্থার নামই মুক্তি। যে সকল লোক সাধনহীন হইয়া কেবল ভ্রম ও পাপের মধ্যে নিমগ্ন ছিল তাহাদিগকে এই পথের যাত্রী করিয়া ভবিষ্যতের দ্বার উন্মুক্ত করা কি মঙ্গল নয় ? সাধক এবং ভগবানের মধ্যে একটি কুটারও স্থান। এখানে নাই ।” “মানুষ অপূর্ণ, তাহার শক্তিও অপূর্ণ; কিন্তু যতই আমরা ঈশ্বরের দিকে অগ্রসর হইব আমাদের আভ্যন্তরীণ শক্তির ততই বিকাশ হইবে, ততই আমরা পূর্ণাতুর দিকে ধাবমান হইব। প্রত্যেক লোকেরই অপরের দেহের আত্মা দর্শনের শক্তি আছে। কিন্তু যাহার জ্ঞানের জড়ত যত অধিক তাহার এই শক্তি তত অল্প, র্যাহার যে পরিমাণে অন্তৰ্দষ্ট খুলিয়াছে তিনি সেই পরিমাণে বিশ্বসংসারের যাবতীয় বস্তুর প্রকৃত তত্ত্ব উপলব্ধি করিতে সমর্থ। এইরূপে মহাত্মারা সাধারণ লোক অপেক্ষা উজ্জ্বলভাবে সকল তত্ত্ব অবগত হন ও মানুষের আত্মার অবস্থা এমন কি বহুদূর হইতেও প্ৰত্যক্ষ করেন। কিন্তু তাহারা যে সমস্ত বিষয়ে অভ্ৰান্ত তাহা বলা যায় না ।” “এই সাধনে কোন সম্প্রদায় নাই। হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, বৌদ্ধ, বৈষ্ণব, শাক্ত, শৈব, নানকপন্থী ইত্যাদি পৃথিবীতে যত বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন। তঁহাদের সকলেরই মধ্যে সত্যধৰ্ম্ম বিদ্যমান আছে। সেই সত্য সৰ্ব্বত্র হইতে গ্রহণ করিতে হইবে ও যেখানে কিছু পাইবুে তাহারই নিকট মস্তক অবনত করিয়া ভক্তি শ্ৰদ্ধা প্ৰকাশ করিবে । জগতের সমস্ত সাধু মহাত্মাদিগকেই সত্যের প্রচারক জ্ঞানে সরল ও অবিমিশ্র শ্রদ্ধ করা চাই। কিন্তু যিনি যাহা নিজের প্রাণে সত্য বুঝিবেন কোন দলের বা লোকের অনুরোধে বা ভয়ে তাহ অবলম্বন