পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w9w মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। গমন করিবার জন্য সশিস্য গোস্বামী মহাশয়কে নিমন্ত্রণ করিলেন, 米、 তিনি বলিলেন ;-—“শান্তিনিকেতনের নিয়মাদি যাহাতে অসাম্প্রদায়িক ভাবে হয়, সকলেই যাইতে পারেন। এরূপভাবে করিবেন।’ ইহার পর মহৰ্ষিসঙ্গে তাহার ধৰ্ম্মসম্বন্ধে নানা কথা হইল। মহর্ষি বলিলেন ;- “যাহাদের হৃদয়ে প্ৰেম তাহদের কথায় অন্তরকে স্পর্শ করে । নতুবা কথা উপরে উপরে ভাসিয়া যায়। তুমি যাহা বলিলে তাহাই ঠিক, তাহাই সত্য। সাধুর কথা এইরূপই হয়। আমার অন্তরের কথা কাহাকেও বলি না, কেহ উহা বুঝে না। তুমি বুঝ তাই তোমাকে বলি। ঈশ্বরকে যেমনভাবে চাই তেমন ভাবে এখনও পাই নাই । বিদ্যুতের ন্যায় দেখা দিয়া অদৃশ্য হন ; প্ৰাণ আমার ধড়ফড় করে (মহর্ষির ক্ৰন্দন ) । জ্ঞানের দ্বারা তাহাকে লালুপ্ত করা যায় না । জ্ঞান কেবল কথার কথা । প্ৰেম ভক্তিই তাহাকে পাবার একমাত্ৰ উপায় । জন্ম, সঙ্গ, শিক্ষা ও সাধন এই চারিটিী একসঙ্গে না থাকিলে ঠিকমত ধৰ্ম্মলাভ হয় না। তোমাতে এই চারিটি উপযুক্তরূপে আছে। তুমি ঠিক ধৰ্ম্মলাভ করিয়াছ। এখন তুমি যাহাই কেন কর না পরমেশ্বর তাহাই অতি সুন্দর দেখিতেছেন । ( শিস্যদের প্রতি ) গোসাইকে তোমরা কখনও ছাড়িও না, ধরিয়া থাকিও । ইনি তোমাদিগকে অনন্ত উন্নতির পথে লইয়া যাইবেন ; তোমাদের মঙ্গল হউক । (গোস্বামী মহাশয়কে) তোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করিতে পারি না, তোমাকে আমি শ্রদ্ধা করি ।” ইহাতে গোস্বামী মহাশয় বলিলেন;–“আপনি তা আমার গুরু, আপনা। হইতেই আমার সব।” । মহর্ষি বলিলেন;—“পাঠশালার গুরুর শিক্ষাধীনে থাকিয়া ছাত্র পরে এই বৎসর ৭ই পৌষ বোলপুরের মন্দির প্রতিষ্ঠার উৎসব হয় । অসুস্থতাবশতঃ গোস্বামী মহাশয় মহৰ্ষির নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে পারেন নাই ।