পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরু-শিষ্য সম্বন্ধ । ৩১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ উপাধি লাভ করে, তখন পাঠশালার গুরুকে শুরু বলিলে যেমন হয়। ইহা সেইরূপ হইতেছে।” গোস্বামী মহাশয়কে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় অন্য সময়ে মহৰ্ষির অবস্থা জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন;–“ইনি একেবারে ছাতা ফেলিয়া চলিয়াছেন।” অর্থাৎ সংসারে আর কোন আশ্ৰয় । নাই, সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ও অত্যন্ত উন্নতাবস্থা প্ৰাপ্ত হইয়াছেন। এই সময় এক ব্যক্তি বেলুন হইতে ছাত ধরিয়া নামিয়াছিল, এই জন্য তিনি মহর্ষির সম্বন্ধে ছাতার দৃষ্টান্ত ব্যবহার করেন । শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্র বাবু বলিয়াছেন ;—“মহৰ্ষির প্রতি র্তাহার কিরূপ গভীর শ্রদ্ধা ছিল তাহা ইহাদ্বারাই বোধ হইবে যে যখন তিনি মহৰ্ষির কথা শুনিতেছিলেন। তখন একেবারে আনুগত শিষ্যের ন্যায় ছিলেন ।” কলিকাতায় অবস্থানকালে তিনি কতক দিন শু্যামবাজারের একটা বাসায় ছিলেন । এই সময় একদিন শ্ৰীযুক্ত শ্যামাকান্ত পণ্ডিত মহাশয় বলিয়াছিলেন ;—“আপনার প্রতি সঙ্কোচ ভােব তা যায় না।” উত্তর করিলেন ;—“নিজকে যেমন পাপী ভাবেন আমাকেও তেমনি মনে করিবেন । নন্দ যশোদা, গোপালকে যেরূপভাবে দেখিতেন আমাকে সেইভাবে দেখিবেন ।” এই কথা বলিয়াই বলিলেন ;--- “শ্ৰীমতীর প্রতি কৃষ্ণ বিশেষ অনুগ্রহ দেখাইলে তিনি গর্বিতা হয়েন । ঐ সময়ই কৃষ্ণ পলায়ন করেন। তৎপরই সখীগণ ও শ্ৰীমতী একত্ৰ হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণের জন্য ক্ৰন্দন করিতে থাকেন। তখনই শ্ৰীকৃষ্ণ প্ৰকাশিত হইয়া রাসলীলা করেন। সখীরা “ শ্ৰীকৃষ্ণের বামে শ্ৰীমতীকে দেখিয়া আনন্দে বিহবল ; শ্ৰীমতী সখীগণকে শ্ৰীকৃষ্ণের বামে দর্শন করিয়া আনন্দিত । গুরু-শিষ্য সম্বন্ধও সেইরূপ । গুরু শস্যকে তুচ্ছ করিলে ভগবান গুরুকে পরিত্যাগ করেন। গুরু শিস্য