পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । গোঁসাইজী আপনা হইতেই বলিতে লাগিলেন १-‘शनि अर्थ ब्लांडई জীবনের ব্রত হইত। তাহা হইলে প্রচুর অর্থ লাভ করিতে পারিতাম।” লোকটী বিস্মিত হইলেন এবং অবশেষে মনের কথা বলিলেন । এইরূপ কত সময় কত ঘটনা ঘটিয়াছে । ব্যক্তিগত জীবনের ‘কথা । ব্ৰাহ্মশিষ্যের উক্তি -“আমি মধ্যে মধ্যে বারদির ব্ৰহ্মচারীর নিকট যাইতাম। প্রত্যেকবার অনেক চিন্তা ও ভাব লইয়া তাহাকে প্ৰণাম করিয়া বসিবামাত্র, আমার অন্তরের গোপনীয় প্রশ্ন সকাল-যাহ অন্তর্য্যামী ভিন্ন আর কেহ জানেন না। তিনি একে একে সকল গুলির উত্তর দিতেন । প্রশ্ন আমার প্রাণে, উত্তর আমার কাণে ; আমি অবাক হইয়া থাকি তাম। একবার ভাবিলাম, যদি ব্ৰহ্মচারী আমাকে দীক্ষ। দেন তাহা হইলে আমি ওঁর্তাহার শিস্যাক্স গ্ৰহণ করিব । গিয়া বসিবামাত্র তিনি বলিলেন, “না। ---না, তা হ’তে পারে না । তোমার গুরু অপেক্ষা ক’রে আছেন, তিনি তোমাকে ঘর হ’তে ডেকে নেবেন।” তার পর আমি ঢাকায় গিয়া গোস্বামী মহাশয়ের নিকট প্ৰণাম করিয়া বসিবা মাত্র তিনি বলিলেন, “আপনি সাধন পাবেন ।’ আমার সমস্ত শরীর পুলকিত হইল। পর দিন স্নান করিয়া ক্ষেত্রের ঘরে উপাসনার জন্য বসিয়াছি, আমার মন উদ্বেগে পূৰ্ণ ; আমার ইচ্ছ। আমার দীক্ষার সময় আমার বাল্য গুরু নগেন্দ্র বাবু ( তখন তিনি ঢাকায় ছিলেন ) , উপস্থিত থাকেন । কিন্তু বলিতে পারিলাম না । গোসাইজী হঠ ২ বলিলেন ‘ক্ষেত্ৰ, নগেন্দ্ৰ বাবুকে ডাক ৷” নগেন্দ্ৰ বাবু উপস্থিত হইলেন, আমার দীক্ষা হইল । আমি যে কারণে চঞ্চল হইয়াছিলাম গোস্বামী মহাশয় তাহা দূর করিলেন দেখিয়া মনে হইল আত্মদর্শী সাধুপুরুষেরা অন্যের মন স্পষ্ট দেখিতে পান। আমার শ্রদ্ধার শতগুণ বৃদ্ধি হইল।