পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে নাম পাইলাম উহা ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের একটী মূলমন্ত্র ; নামটী পড়িয়া উহার অর্থ ব্যাখ্যা করিলেন। দুই তুিন বারে আমার আয়ত্ত হইল। নামের মহিমা কত, নাম কত মধুর তাহার তুলনা পৃথিবীর কোন বস্তুরই সহিত দেওয়া যায় না। নামের মত্ততাকারী শক্তি আছে। সংসারমুখী মন নামের মিষ্টতায় এমনি ভোলে যে ঐ রূপ আর কিছুতেই হয় না। মাত্ত মাতঙ্গ অঙ্কুশ আঘাতে বিশ হয়, মত্ত মন নামে বশ হয় । ঐ যে সঙ্গীতে “নাম-প্ৰসাদে দেখতে পাবে প্ৰাণ মাঝে প্রাণারাম” এটী। কেমন সত্যু তাহা যোগী ভক্তেরা নিয়ত প্রত্যক্ষ করেন । বাহাদৃষ্টি মানুষকে প্ৰতারিত করে, কিন্তু অন্তর্দষ্টি মানুষের মনকে ঈশ্বরচরণে সমাহিত করে। এমন মধুর অস্বাদন ভুলিয়। মানুষ কোথায় যাইবে ? নাম প্রভাবে ইহকাল পরকাল এক হয়, আমি ইহা গোস্বামী কৃপায় ভোগ করিয়াছি।” কোন ব্ৰাহ্মবন্ধুর উক্তি ;--“ইংরেজী ১৮৭৯ সান হইতে পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজ মন্দিরের দ্বারে যাতায়াত আরম্ভ করি । প্ৰথম প্ৰথম সাধারণ ছাত্ৰগণের ন্যায়। কখনও একটী কখনও ব; দুইটা গান শুনিয়া উঠিয়া আসিতাম । এই ভাবে ছয় বৎসর কাটিয়া গেল। ইতিমধ্যে একদিন বুড়ীগঙ্গার তীরে গেরুয়া বসন পরিহিত একজন সমুন্নত পুরুষের দর্শন লাভ করিলাম, দর্শনমাত্র তাহার প্রতি মনশ্চক্ষু আকৃষ্ট হইল ; ইনিই বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী । গোস্বামী মহাশয়ের উপাসনায় তৎকালে পূর্ববঙ্গলা ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবল বন্যা বহিয়া যাইতেছিল ; আর উহার আকর্ষণে শত শত নরনারী দগ্ধ হৃদয়ের জ্বালা নিবারণের জন্য ছুটিয়া আসিতেছিল। এই সময়ে একবার ফিকিরর্চাদ সদলে ঢাকায় আসিলেন, মনে হইল যেন পূর্ববঙ্গে নদীয়ার লীলা বহিতেছে। শিক্ষিত অশিক্ষিত কেহই বাদ পড়িল না, সকলেই ব্ৰহ্মরস-মন্দিরায় RNO