পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরা যাত্ৰা । খালাসীগণের আশীৰ্ব্বাদ ভিক্ষা করিলেন, তাহার বাকুলতা ও বিনয়ের , । পরিচয় দিতে চেষ্টা করা বৃথা। উহা সঁহারা প্রত্যক্ষ করিয়াছেন । তঁহাদের চক্ষু সাৰ্থক হইয়াছে, আর র্যাহারা তাহার সংসর্গে বাস করিয়াছেন তঁহাদের জীবন কৃতাৰ্থ হইয়াছে । পুরীতে উপস্থিত হওয়ার পূর্বেই একজন পাণ্ড আসিয়া তাহার পাণ্ড হইতে অভিলাষ প্ৰকাশ করিল । তিনি ঐ ব্যক্তিতে ইষ্টদেবতার দর্শন পাইয়া ভাবে আত্মহারা হইলেন এবং সঙ্গে সাহা কিছু ছিল সমস্ত তাহাকে দান করিতে বলিলেন । গোস্বামী মহাশয় ভগ্নদেহে প্ৰায় পািণ জন শিস্যসহ পুরীতে উপস্থিত হইলেন। ঐ সময় পুরী রেল ওলে ষ্টেশন জগন্নাথের মন্দির হইতে প্ৰায় তিন মাইল ব্যবধানে ছিল । উৎসাহবশতঃ এই পথ তিনি পদব্ৰজে গমন করেন । তাহারা আঠারনালা নামক স্থানে rー উপনীত হইলে মন্দিরের চড়া দৃষ্ট হইল। চড়া দেখিয়াই ভাবের আবেগে তাহার নয়নযুগল প্রেমাঞতে ভাসিয়া গেল ; হুঙ্কার শব্দে “হরি বোল” “হরি বোল” করিতে করিতে নুত্য আরম্ভ করিলেন। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে শিষ্যমণ্ডলীতে র্ত্যুহার শক্তি সঞ্চারিত হইল ; কীৰ্ত্তন করিতে করিতে সকলে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন । এই ভাবে শিষ্যদল কীৰ্ত্তন করিতে করিতে এবং পঙ্গুপ্ৰায় বৃদ্ধ গোস্বামী মহাশয় সিংহবিক্রমে নৃত্য করিতে করিতে পুরীতে আসিয়া উপনীত হইলেন। মহাত্মা রামকৃষ্ণ পরমহংস যে দিন ব্ৰহ্মমন্দিরে গমন করিয়াছিলেন, সেদিন মন্দিরে প্রবেশ করিয়াই মূৰ্ছিত হইয়া পড়িয়াছিলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিয়াছিলেন ;- “প্ৰবেশ মাত্ৰ স্থানের পবিত্রতা ও গাম্ভীৰ্য্য আমার হৃদয়কে অধিকার করিল, আর যখন স্মরণ হইল, এখানে বসিয়া এত লোক পরব্রহ্মের উপাসনা করিয়া থাকেন, তখন আমি আর