পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। আঁত্মসম্বরণ করিতে পারিলাম না।” ইহারও জগন্নাথের মন্দির দর্শনমাত্র ব্ৰহ্মস্ফক্তি হওয়াতেই আত্মহারা হইয়াছিলেন, এবং এজন্য অচল শরীরে তিন মাইল পথ অতিক্ৰম করিতেও তাহার কোনরূপ ক্লেশ বোধ হয় নাই । গোস্বামী মহাশয় পুৱীতে বৎসরাধিক ( পািনর মাস ) কাল অবস্থান করেন। এই সময়ের মধ্যে তন্দ্বারা তথায় কতকগুলি সংস্কার ও পরিবর্তন সাধিত হওয়াতে র্তাহার প্রতি সাধারণের বিশেষ দৃষ্টি পড়ে। তিনি পুরীতে গিয়া দেখিতে পাইলেন, তথাকার মিউনিসিপালিটীর আদেশে শিকারীগণ যেখানে সেখানে গুলি করিয়া বানর বধ, করিতেছে। নিরীহ বানরজাতির প্রতি এইরূপ নিষ্ঠুর আচরণে র্তাহার কোমল প্ৰাণে অত্যন্ত আঘাত লাগিল । একদিন সমুদ্রমান করিয়া ফিরিবার পথে কতকগুলি বানরের মৃতদেহ দেখিয়া তিনি অশ্রুপাত করিলেন । তৎপর তাহারই অভিপ্ৰায় অনুসারে শিষ্যগণ বানর মারার বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে আন্দোলন করিতে আরম্ভ করিালেন এবং মাির্কট বধ শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ এই মৰ্ম্মে নবদ্বীপ, ভট্টাপল্লী, কাশী প্রভূতি স্থান হইতে প্ৰধান প্ৰধান পণ্ডিতের, পাতি সংগ্ৰহ করিয়া ছোটলাট উডবারণ মহোদয়ের নিকট প্ৰতিকারের জন্য প্রার্থনা করিলেন । এই আবেদন প্ৰাপ্তির পর ছোটলাট বাহাদুর পুরীতে বানরবধি রহিত করেন । এই আন্দোলন ব্যাপারে টেলিগ্রামে তাহদের অনেক টাকা ব্যয়িত হইয়াছিল । গোস্বামী মহাশয় এক দিন বলিয়াছিলেন ;-“কিরূপে আন্দোলন করিতে হয় তাহা কেবল কেশব বাবু জানিতেন । যদি আমার শরীর ভাল থাকিত তাহা হইলে কলিকাতা গিয়া আমি তুমুল আন্দোলন করিতাম।” তঁহার পুরীর আশ্রমে সৰ্ব্বদা দলে দলে বানর আসিত । তিনি