পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরীতে দান। বলিয়াছেন ;- “দানে পাপ সঞ্চয় হয়,” আবার অন্য সময় বালয়াছেন, “যদি সাধ্য থাকে। তবে অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি হইতে পথের কাঙ্গাল পৰ্যন্ত যে কেহ কোন বিষয়ের জন্য প্রাথী হইলে তাহার প্রার্থনা পূর্ণ করিতে হইবে।” বস্তুতঃ তিনি স্বয়ং যেমন পরমেশ্বরের ইচ্ছা জানিয়া দান করিতেন, তাহার উপদেশ ও তদনুরূপ ছিল। নিজেব বুদ্ধি বিবেচনাকে সারথী না করিয়া তিনি-ভগবৎ ইঙ্গিত শুনিয়া চলিয়াছেন ইহা হৃদয়ঙ্গম হইলে এই সমস্ত বিভিন্ন ভাবের উক্তির সামঞ্জস্য বিধান সহজেই হইতে পারে । তাহার অজস্র দানের বিষয় চিন্তা করিলে মনে হয় জগতের দুঃখের মোচন, সুখের বৃদ্ধি, বাসনার নির্বাণ, আনন্দ ও শান্তির বিস্তার সাধনার্থেই ভগবৎশক্তি তাহাকে এই দানব্ৰতে নিয়ত নিযুক্ত রাখিয়াছিল। যেমন র্তাহার অলৌকিক প্ৰেম, ভক্তি, বিশ্বাস ও সাধুতা লোকের আকর্ষণের কারণ হইয়াছিল, তেমনি তাহার দান সকলকে আপনার করিয়া লইয়াছিল । এজন্য তৎকালে জটিয়া বাবার * নাম না জানিত পুরীতে এমন লোক ছিল না। তিনি পুৱীতে আসিয়া শিস্যদিগকে এই অ! দেশ করিয়াছিলেন যে প্রতিদিন দীন দুঃখী কাঙ্গাল পরদেশী ( ভিন্নদেশীয় ) দিগকে মহাপ্ৰসাদ বিতরণ করিতে হইবে । শিস্যগণ তদনুসারে প্রতিদিন আশ্রমে সেবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ইতিমধ্যে একদিন গরীবদিগকে আহবান করিয়া খুব বড় এক ভোজ দেওয়া হয়। তিনি বলিয়াছিলেন, লোকেরা “ব্ৰাহ্মণদিগকেই খাওয়ায় গরীবদিগকে কেহ খাওয়ায় না, অতএব গরীবদিগকে খুব ভাল করিয়া খাওয়াইতে হইবে।” এজন্য গরীবদিগকে কানিকা প্ৰসাদ সহযোগে পরম পরিতোষপুৰ্ব্বক খাওয়ান হয়। ইহাতে ব্ৰাহ্মণের বলিয়ছিলেন ;—“গরীবদিগকে খাওয়াইলে, পুরীতে তিনি জটিয়া বাবা নামে পরিচিত ছিলেন।