পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। ཀྱི་ངག་ খাওয়াইলে না ?” তৎপর ব্ৰাহ্মণদিগকেও খুব খাওয়ান হইল। দিন তাহার জন্ম দিনে কানিকা প্ৰসাদ সহযোগে দরিদ্রদিগকে খুব খাওয়ান হইল। এইরূপ দানে বহু টাকা ব্যয় হইয়াছিল। দান তাহার নিত্যাক্রিয়ায় পরিণত হইয়াছিল । সময় সময় একই লোকে তঁহার নিকট হইতে দুই তিন বারও দান গ্ৰহণ করিত, কিন্তু তিনি কখনও বিরক্ত হইতেন না, দানে তিনি সর্বদা তাহায় ইষ্টদেবতার আদেশের অপেক্ষা করিতেন। এক দিন মন্দিরে সিড়ি দিয়া নামিবার সময় একজন লোক প্রাথী হইলে এক টাকা দিতে বলিলেন ; এক টাকা দেওয়া হইল। কয়েক সোপান নামিলে ঐ ব্যক্তি আবার প্রার্থী হইল। তখন দুই টাকা দিতে বলিলেন, দুই টাকা দেত্তয়া হইল। আরও কয়েক সোপান নামিলে লোকটী আবারও প্রার্থনা করিল ; তখন তাহাকে ১০২ টাকার একখানা মুগা কাপড় দিতে বলিলেন, এবং তা হাই দেওয়া হইল । ব্যাপার দেখিয়া সঙ্গী ভাবিলেন, “লোকটা কি প্রতারণাই করিতেছে, ইনি হয়ত জানিতেও পারতেছেন না।” কিন্তু তিনি সেই মুহুর্তেই বলিলেন ;-“আমি কি করিব, ঈশ্বর জগন্নাথদেব দান করিতে বলিতেছেন, তাই দিতেছি । এ লোকটী তিনবার দান গ্ৰহণ করিল। তাহা আমি জানি, কিন্তু র্যার দান তার আদেশে এ দান চলিতেছে।” তঁহার নিজের কোন সংস্থান ছিল না। অথচ এক দিনের জন্য এই দান বন্ধ হয় নাই। তিনি যৌবনের প্রারম্ভে বিষয়-নিম্মুক্ত হইয়া সেবা-ব্ৰত গ্ৰহণ করেন। তখন অর্থ-সংস্থান তঁাহান্স ছিল না। সুতরাং কেবল শরীর মন দ্বারাই পরিহিত সাধনে ব্ৰতী ছিলেন ; লোকের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করিয়া দীন দুঃখীর সহায়তা করিতেন, সেবা শুশ্রুষা করিয়া, হিত চিন্তা ও মঙ্গল কামনা করিয়া পরিহিতসাধন করিতেন । এখন অর্থাভাব