পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী। কুঁজীষ্মোপাসনা না করিয়া জল-গ্ৰহণ করিতেন না। ক্রমে উপাসনার প্রতি ষ্ঠাকুর গাঢ় অনুরাগ হইল। এখন হইতে ভাই ভগিনীতে পিতার চর পূজা করিয়া কৃতাৰ্থ হইতে লাগিলাম। মৈত্ৰেয় মহাশয় যেরূপ সাংসারিক কষ্টে পড়িয়াছিলেন, উপাসনায় গাঢ়-অনুরাগ না হইলে ‘সপরিবারে কখনই সে কষ্ট সহ্য করিতে পারিতেন না। ধৰ্ম্মের জন্য মনুষ্য কত দুঃখ সহ্য করিতে পারে তাহা তাহদের জীবনে প্রত্যক্ষ করিয়াছি।’ * ‘গোস্বামী মহাশয় যে সময়ে কিশোরী বাবুর সঙ্গে একত্ৰ কলিকাতা অবস্থান করিয়াছিলেন, তখনকার দুইটী ঘটনার উল্লেখ করিতেছি। ঘটনা দুইটি শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বলিতেছেন ঃ প্ৰথম—“আমি তঁহার স্ত্রীর শিক্ষার সাহায্যাৰ্থ অনুরুদ্ধ হইয়া সৰ্ব্বদা * তাহার গৃহে গমন করিতাম। কিন্তু তিনি প্রায়ই গৃহে থাকিতেন না, আমাকে একাকী নির্জনে তঁাহার সহধৰ্ম্মিণীর শিক্ষকতার কাৰ্য্য করিতে হইত। ইহাতে কিশোরী বাবু বিরক্ত হইয়া গোস্বামী মহাশয়কে বলিলেন—“নগেন্দ্র বাবু একাকী নিৰ্জ্জুনে তোমার স্ত্রীর অধ্যাপনা করিতেছেন, ইহা আমি পছন্দ করি না । নগেন্দ্ৰ বাবু যুবক, আমি তাহার প্রতি বিশ্বাস করিতে পারি না ; অতএব তুমি স্ত্রীর পড়া বন্ধ কর।” গোস্বামী মহাশয় ইহা শুনিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হইয়া বলিলেন,-“আমি নগেন্দ্ৰ বাবুকে অত্যন্ত বিশ্বাস করি, তঁাহার সম্বন্ধে এইরূপ ভাব পোষণ করা আমি অত্যন্ত অন্যায় মনে করি ; এ অবস্থায় আপনার সঙ্গই আমার পরিত্যাগ করা কীৰ্ত্তব্য। যেহেতু আষার বন্ধুগণ সর্বদাই আমার গৃহে আসিবেন, আর আমি তাহাদিগকে অত্যন্ত বিশ্বাস করি। কিন্তু আপনি তাহাদিগকে অবিশ্বাস করিবেন, ইহা আমার পক্ষে r r r er ni alle

  • আত্ম বিবরণ ।