পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इन्डखड्डों (दांक्ष। অত্যন্ত ক্লেশের বিষয়।” এই কথা বলিয়া গোস্বামী মহাশয় ঐ দিনীই বাড়ী আন্বেষণ করিয়া স্বতন্ত্র বাড়ী ভাড়া করিলেন ; এবং তথায় গিয়া বাস করিতে আরম্ভ করিলেন । কিন্তু উক্ত ঘটনায়। মৈত্ৰেয় মহাশয়ের প্ৰতি র্তাহার কোন প্রকার ভাবান্তর উপস্থিত হয় নাই!” । ' দ্বিতীয়—“এক সময় গোস্বামী মহাশয় স্বীয় সহধৰ্ম্মিণীর চরিত্রে কোন রূপ অভাব অপূর্ণতা না থাকে। এজন্য সামান্য ক্ৰটী দেখিলেই তঁহাকে উপদেশ দিতেন ; এবং যাহাতে ঐ রূপ ক্ৰটি আর না ঘটে। তদুপায়। অবলম্বন করিতে বলিতেন । ইহাতে তঁহার সহধৰ্ম্মিণী মনে করিতেন স্বামী তাহাকে সমস্ত দিনই তিরস্কার করিতেছেন। আমি ইহা বুঝিতে পারিয়া নির্জনে তঁহিকে বলিলাম “আপনি যে সৰ্ব্বদা স্ত্রীকে উপদেশ দিয়া থাকেন ইহা ভাল নয়, তিনি উহা উপদেশ রূপে গ্ৰহণ করিতে না, পারিয়া মনে করেন, আপনি সমস্ত দিন তঁহাকে তিরস্কার করিতেছেন। এইরূপ ভাব অধিক দিন থাকিলে উহার ফল ভাল হইবে না। প্রীতির ভাব শিথিল হইয়া ক্ৰমে বিরক্তির সঞ্চার হইবে।” গোস্বামী মহাশয় সহজেই আমার কথার ভাব বুঝিতে পারিয়া কৃতজ্ঞ।-চিত্তে উহা গ্ৰহণ করিলেন। এ দিকে দুই এক দিনের মধ্যে একদিন শ্ৰদ্ধেয় প্রতাপ বাবুর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হইলে তিনি বলিলেন “তুমি বিজয় বাবুর কি উপকার করিয়াছ, তিনি তোমার উপকার স্মরণ করিয়া। এতদূর কৃতজ্ঞ হইয়াছেন যে তোমার প্রশংসা তঁহার মুখে ধরে না।” আমি প্ৰথমে কিছুই বুঝিতে পারি নাই, “তঁহার কি উপকার করিয়াছি।” কিন্তু শেষে আমার এই বিষয়টী মনে পড়িলে ভাবিলাম বোধ হয় ইহাতেই গোস্বামী মহাশয় আমার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হইয়াছেন। কৃতজ্ঞতা বোধ তাহাতে এতই অধিক ছিল ।”