পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ। প্রচার-ব্ৰত গ্ৰহণ, ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার, উপাচাৰ্য্য-পদে নিয়োগ, কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজের সঙ্গে মতভেদের সূচনা। যে সময় বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় সপরিবারে কলিকাতা আসিয়া বাস করিতেছিলেন, তখন উন্নতিশীল যুবক-দল প্রবল-উদ্যমে সঙ্গত সভায় প্রবেশ করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। উপবীত ত্যাগ ইত্যাদি সংস্কার-জনিত অসুবিধা ও অত্যাচার তাহদের উৎসাহানলকে নির্বাপিত না করিয়া আরও প্ৰজলিত করিয়া দিতেছিল ।” “এই সময় নুতন ও পুরাতন শক্তির একটী আশ্চৰ্য্য সন্মিলন নিবন্ধন नि नि शूभिक्रिङ যুবকগণ ব্ৰাহ্মসমাজে প্ৰবেশ করিতে লাগিলেন । একদিকে দেবেন্দ্ৰনাথের বহু-দর্শন, প্ৰগাঢ় ধ্যান-পরায়ণতা, সংস্কৃত ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অভিজ্ঞতা, গাম্ভীৰ্য্য, ধীরতা প্ৰভৃতি মহাদুগুণ ; অপর দিকে আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের সাহস, পরাক্রম, নিৰ্ভীকতা, সুমার্জিত-বুদ্ধি বিষ্টলক্ষণতা, বাগিতা, কাৰ্য্যতৎপরতা, জীবন্ত-প্ৰাৰ্থন এবং বিজয়কৃষ্ণের ও তাহার সহযোগীগণের ধৰ্ম্মানুরাগ, ব্যাকুলতা, সংস্কার-প্ৰিয়তা, জীবনপ্রদ উদ্যম, উৎসাহ প্ৰভৃতি একত্ৰ সম্মিলিত হইয়া একটী প্ৰভুত শক্তি উৎপন্ন করিল ৷” এই সময় ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আন্দোলন-স্রোত নানা দিকে বিস্তুত হইতে আরম্ভ করে ; এবং চতুর্দিকের ধৰ্ম্ম-পিপাসু। नद्र-मेट्रिौ१ প্রচারকের অভাব অনুভব করিতে থাকেন। ইতিমধ্যে যশোহর জেলার অন্তঃপাতী বাগাত্মাচড়ার কতকগুলি লোক ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণের জন্য ব্যগ্ৰ হইয়া, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের শরণাপন্ন হয়। হিন্দুসমাজকর্তৃক পরিত্যক্ত