পাতা:মহাত্মা বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর জীবনবৃত্তান্ত.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপাচাৰ্য্য পদে নিয়োগ । ছিলেন। গোস্বামী মহাশয় এবং অন্নদা বাবু উক্ত সমাজের উপাচাৰ্য্য মনোনীত হইলে আচাৰ্য্যগণের পক্ষে উপবীত ধারণ নিষিদ্ধ হইল। ইহার পর বিশেষ দিন নিৰ্দ্ধারণ করিয়া অন্নদাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী এবং অযোধ্যানািখ পাকড়াশী মহাশয়দিগকে উপাচাৰ্য্য পদে বরণ করিবার বিজ্ঞাপন তত্ত্ববোধিনীতে মুদ্রিত হইলে অবগত হওয়া গেল, পাকড়াশী মহাশয় উপবীত ত্যাগ করেন নাই । ইহাতে ঐ তত্ত্ববোধিনী দগ্ধ করিয়া পুনরায় দুই জনের নামসহ তত্ত্ববোধিনী মুদ্রিত হইল। পাকড়াশী মহাশয় উপাচাৰ্য্য না হওঁয়াতে সকলেই অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন। ১২৭১ সনের (১৭৮৬ শক) ৬ই ভাদ্র বিশেষভাবে উপাসনা করিয়া প্ৰধান আচাৰ্য্য মহাশয় প্রথমোক্ত দুই জনকে উপাচাৰ্য্য পদে বরণ করিলেন। উক্ত অনুষ্ঠান সম্বন্ধে তত্ত্ববোধিনীর মন্তব্য এইরূপ :-— “বিগত ৬ই ভাদ্র শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী এবং শ্ৰীযুক্ত অন্নদাপ্ৰসাদ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়দ্বয় ব্ৰাহ্মসমাজের উপাচাৰ্য্য পদে অভিষিক্ত হইয়াছেন। এই ব্ৰাহ্মন্বয় যেরূপ উৎসাহ ও নিষ্ঠ সহকারে এতৎকাল পৰ্যন্ত ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের উপদেশ পালন করিয়াছেন, তাহা আলোচনা করিলে তঁহাদিগকেই উক্ত পদের বিশেষ উপযুক্ত বোধ হয়। কাহারও অকারণ প্ৰশংসা করা তত্ত্বরোধিনী পত্রিকার পক্ষে সম্ভবে না। কিন্তু এই দুই ব্যক্তি ধৰ্ম্মের জন্য যেরূপ ক্লেশ, যতদূর অত্যাচার সহ করিয়াছেন, তাহা সৰ্ব্বসাধারণ সকল ব্রাহ্মের অবগত হইয়া তাহাদিগকে দৃষ্টান্তস্বরূপ জ্ঞান করা উচিত। তঁহাদিগের মত একশত, ব্ৰাহ্ম প্রাপ্ত হইলে ভারতবর্ষের যে অশেষ মঙ্গল হয় তাহার। আর সন্দেহ নাই ।” মুহৰ্ষি দেবেন্দ্রনাথ উক্ত অভিষেক উপলক্ষে গোস্বামী মহাশয়কে নিম্নলিখিত উপদেশ প্ৰদান করেন :-