বেদান্ত ও বেদান্তসূত্রের ভাষ্যপ্ৰকাশ ܠ ܡܪ পুরুষানুক্রমিক প্রথাবিষয়ে রামমোহন রায়ের মত শাস্ত্রীয় বিচারে রামমোহন রায়ের মত খণ্ডন করিতে অক্ষমতাপ্ৰযুক্ত অনেকে প্রচলিত প্রথার দোহাই দিতেন। যাহা পুরুষানুক্ৰমে হইয়া আসিতেছে, তাহাই ভাল, এই বলিয়া অনেকেই তাহার কথা অগ্ৰাহা করিতেন। তিনি তজ্জন্য, তাহার ঈশোপনিষদের ভূমিকায় লিখিয়াছেন ;-“বিশেষ আশ্চৰ্য্য এই যে, যদি কোন ক্রিয়া শাস্ত্রসম্মত এবং সত্যকাল অবধি শিষ্টপারস্পরসিদ্ধ হয়, কেবল অল্পকাল কোন কোন দেশে তাহার প্রচারের ত্রুটি জন্মিয়াছে, আর সম্প্রতি তাহার অনুষ্ঠানেতে লৌকিক কোন প্রয়োজন সিদ্ধ হয় না, এবং হাস্য আমোদ জন্মে না, তাহার অনুষ্ঠান করিতে কহিলে লোকে কহিয়া থাকেন যে, পরম্পরাসিদ্ধ নহে, কিরূপে ইহা করি। কিন্তু সেই সকল ব্যক্তি, পূর্বশিষ্টপরম্পরার অত্যন্ত বিপরীত, এবং শাস্ত্রের সর্ব প্রকার অন্যথা, সামান্য লৌকিক প্রয়োজনীয় শত শত কৰ্ম্ম করেন, সে সময়ে তাহাদিগের মধ্যে কেহ শাস্ত্র এবং পূর্বপরম্পরার নামও করেন না ; যেমন আধুনিক কুলের নিয়ম ; যাহা পূর্বপরম্পরার বিপরীত এবং শাস্ত্ৰবিরুদ্ধ। ইংরাজ-যাহাকে মেচ্ছ কাহেন, তাহাকে অধ্যয়ন করান কোন শাস্ত্রে, আর কোন পূর্বপরম্পরায় ছিল? কাগজ যে সাক্ষাৎ যবনের অন্ন, তাহাতে গ্রন্থাদি লেখা কোন শাস্ত্ৰবিহিত আর পরম্পরাসিদ্ধ হয় ? ইংরাজের উচ্ছিষ্ট করা আর্দ্র ওয়েফর দিয়া বদ্ধ-করা পত্র, যত্বপূর্বক হস্তে গ্ৰহণ করা, কোন পরম্পরাতে পাওয়া যায় ? আপনার বাটীতে দেবতার পূজাতে, যাহক মেচ্ছ কহেন, তাহাকে নিমন্ত্রণ করা, আর, দেবতার সমীপে আহারাদি করান কোন পরম্পরাসিদ্ধ হয় ?” এইরূপ নানাপ্রকার কৰ্ম্ম, যাহা অত্যন্ত শিষ্টপরম্পরার বিরুদ্ধ হয়, প্ৰত্যহ করা যাইতেছে। আর, শুভসূচক কৰ্ম্ম করে মধ্যে জগদ্ধাত্রী, রটন্তী
