পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মানিয়াছেন, তাহা কবিতাকারকে দেখান উচিত ছিল । তবে আনন্দলহরী, দেবীসুরেশ্বরী ইত্যাদি গঙ্গার স্তব, নমো সঙ্কটা কষ্টহাবিণী ভবানী ইত্যাদি অনেক অনেক স্তবকে এবং একখান সত্যপীরের পুস্তককেও শঙ্করাচাৰ্য্যের রচিত কহিয়া সেই সেই দেবতার পূজকের প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন। এ সকল স্তব, বেদান্তের ভাষ্যকার আচাৰ্য্যকৃত, ইহাতে প্ৰমাণ কিছু নাই। প্ৰধান লোকের নামে আপন আপন কবিতা বিখ্যাত কবিলে চলিত হইবেক, এই নিমিত্ত, আচাৰ্য্যের নামে এই সকল স্তবস্তুতি প্ৰসিদ্ধ কবিয়াছেন ; আর যদ্যপিও তেঁাহার কৃত এ সকল হয়, তথাপি হানি নাই । যেহেতু, ব্রহ্মেব আরোপে জগতের তাবদ্বস্তুকে ব্ৰহ্ম করিয়া বৰ্ণন করা যায় । সৃষ্টি করিবার জন্য নিরাকার ব্ৰহ্মকে সাকার হইতে হয় কি না ? সৃষ্টি করিবার জন্য নিরাকার ব্ৰহ্মকে সাকার হইতে বা রূপধারণ করিতে হয়, এই কথার উত্তরে রামমোহন রায় বলিতেছেন যে, তাহার ইচ্ছাতেই সৃষ্ট্যাদি হইয়া থাকে । নিরাকার হইতে সৃষ্ট্যাদি কিরূপে হয়, তাহার সিদ্ধান্ত বেদান্তে এই রূপ লিখিয়াছেন ;- BDBDBB DBDB BuBLLu DDD SS DBELDS KS DD DBB S যখন জীবাত্মা আকার ধারণ না করিয়াও স্বপ্নে রথ, গজ, নদী, দেশ, আকাশ, দেবতা, স্থাবর, জঙ্গম এই সকল স্বষ্টি করিতে পারেন, তখন সৰ্ব্বব্যাপী সর্বশক্তিমান পরব্রহ্ম এই সকল জগৎ ও নানা প্ৰকার নামরূপের রচনা করিবেন, আশ্চৰ্য্য কি ।