পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার SVS I আর কতক কতক শাখা-সুক্ত জানিলে, পূর্বভাগ বেদ পড়া একপ্রকার এদেশের ব্ৰাহ্মণেদের হয়, ইহা কবিতাকার এক স্থানে স্বীকার করেন ; পুনরায় মুকুন্দরাম ভট্টাচাৰ্য্য প্রভৃতি র্যাহারা পূর্বভাগ বেদের সুৰ্য্যোপস্থান প্ৰভৃতি ও অন্য অন্য মন্ত্র অবশ্যই পড়িয়া থাকিবেন , র্তাহাদিগ্যে পূর্বকাণ্ডীয় বেদিহীন করিয়া অন্য স্থানে কিরূপে নিন্দা করেন ? বস্তুত, প্ৰথম ভাগ বেদের অধ্যয়ন কৰ্ত্তব্য ; কিন্তু ইহাতে অসমর্থ ব্ৰাহ্মণেদের গায়িত্রী ও রুদ্রোপস্থান এবং সুৰ্য্যোপস্থান ও পুরুষসুক্ত ইহার অধ্যয়নকে প্ৰথম ভাগ বেদের অধ্যয়ন করিয়া কহিয়াছেন । বেদধ্যয়ন প্ৰকারণে পরাশরের বচন :- “সাবিত্রীরুদ্রপুরুষসুৰ্য্যোপস্থানকীৰ্ত্তনাং । অনধীতস্বশাখানাং শাখাধ্যয়নমীরিতং ॥ অতএব, র্যাহারা গায়িত্র্যাদির অধ্যয়নবিশিষ্ট হয়েন, তাহদের বেদান্ত পাঠে বিড়ম্বন কখন হয় না।” মনুর দ্বিতীয়াধ্যায়ে গায়ত্রীর প্রকরণে ;- “জপ্যেনৈব তু সংসিদ্ধেদ্বাহ্মণো নাত্রসংশয়ঃ। কুৰ্য্যাদন্যন্ন বা কুৰ্য্যান্মৈত্ৰে ব্ৰাহ্মণ উচ্যতে ||” কেবল গায়ত্র্যাদি জপেতেই ব্ৰাহ্মণ মুক্তি প্ৰাপ্ত হইবার যোগ্য হয়েন ; অন্য ব্যাপার করুন, বা করুন, তাহাকে উত্তম ব্ৰাহ্মণ কহা যায় ।” বেদান্তভাষ্যকার সাকার দেবতার স্তব করিয়াছেন কি না ? কবিতাকার লেখেন, বেদান্তের ভাষ্যকার সাকার ব্ৰহ্ম মানিয়া আনন্দ লহরী স্তব করিয়াছেন। রামমোহন রায় ইহার উত্তরে বলিতেছেন ;- “বেদান্তের ভাষ্য প্ৰস্তুত আছে, কোন স্থানে সাকারকে ব্ৰহ্মরূপে ভাষ্যকার l