পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত سراجS শৈববিবাহে বয়স ও জাতি৷ ইহার বিচার নাই ; কেবল সপিণ্ডা না। হয় এবং সভ্যুত্ত্বকা না হয়; তাহাকে শিবের আজ্ঞাবলে শক্তিরূপে গ্ৰহণ করিবে ; কিন্তু র্যাহারা স্মাৰ্ত্তমতাবলম্বী ও র্যাহাদের উপাসনামতে শৈবশক্তি গ্ৰহণ হইতে পারে না, অথচ যবনী কিম্বা অন্ত্যজ স্ত্রীতে গমন করেন, তাহারাই পূর্বোক্ত স্মৃতিবাচনের বিষয় হয়েন, অর্থাৎ সেই সেই জাতিপ্ৰাপ্ত অবশ্যই হয়েন। স্বৰ্গীয় রাজনারায়ণ বসু কর্তৃক প্ৰকাশিত রাজা রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলীর মধ্যে ৩২২ পৃষ্ঠা, ‘পথ্য-প্ৰদান’ গ্রন্থে, গ্ৰন্থকার এইরূপ লিখিতেছেন ;-“১৪৫ পৃষ্ঠার শেষে লিখেন যে, “কখন ভাক্ত তত্ত্বজ্ঞানী, কখন বা ভাক্ত বামাচারী” এবং ১৩০ পৃষ্ঠে ও এইরূপ পুনঃপুনঃ কথন আছে, কিন্তু ধৰ্ম্মসংহারকের এরূপ লিখিবাতে আশ্চৰ্য্য কি, যেহেতু, র্তাহার এ বোধও নাই যে, কুলাচার সর্বথা ব্ৰহ্মজ্ঞানমূলক হয়েন। সর্বত্র সংস্কার বিষয়ে বামাচারের মন্ত্র এই হয় ( একমেব পরিংব্ৰহ্ম স্কুলসূক্ষ্মমায়ং ধ্রুবং ) এবং দ্রব্যশোধনে সর্বত্র বিধি এই (সৰ্ব্বং ব্ৰহ্মময়ং ভাবয়েৎ) এবং কুলধাতুর অর্থ সংস্ত্যান, অর্থাৎ সমূহ অর্থে বৰ্ত্তে ; অতএব সমূহ যে বিশ্ব তাহা কুল শব্দের প্রতিপাদ্য ; যাহা মহাবাক্যের তাৎপৰ্য্য হইয়াছে। ইত্যাদি । উক্ত গ্ৰন্থাবলীর ৩৩১ পৃষ্ঠায় রামমোহন রায় বলিতেছেন ;-১৬২ পৃষ্ঠের শেষে লিখেন যে, “সুশীল সুজনদিগের বৃথা কেশচ্ছেদন, সুরাপান, সম্বিদ্যাভক্ষণ, যবনীগমন ও বেশ্যাসেবন সৰ্বকালেই অসম্ভব”। উত্তর। এ যথাৰ্থ বটে, অতএব ধৰ্ম্মসংহারকে যদি ইহার ভূরি অনুষ্ঠান দৃষ্ট হয়, তবে দুর্জন পদপ্রয়োগ তাহার প্রতি সঙ্গত হয় কি না? শৈবধৰ্ম্মে গৃহীত স্ত্রীকে পর্যন্ত্রী কহিয়া নিন্দা করিয়াছেন, অতএব জিজ্ঞাসি যে, বৈদিক বিবাহে বিবাহিত স্ত্রীসঙ্গে পাপাভাবে কি প্ৰমাণ? সেও বাস্তবিক অৰ্দ্ধাঙ্গ হয় না,