পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও কয়েকখানি গ্ৰন্থপ্ৰকাশ 26 ܓ একভাবে দেখিলে, এই ‘অনুষ্ঠান’ গ্ৰন্থখানি অতি প্ৰয়োজনীয় গ্ৰন্থ। ইহাতে রাজা রামমোহন রায়ের প্রকৃত মত জানা যায়। শাস্ত্রীয় বিচারে প্ৰবৃত্ত হইয়া তিনি অনেক স্থলে শাস্ত্রানুযায়ী মত প্ৰকাশ করিতে বাধ্য হইয়াছেন। কিন্তু এই ‘অনুষ্ঠান’ পুস্তকখানিতে র্তাহার নিজের মত ও বিশ্বাস ব্যক্ত করিয়াছেন। তিনি এদেশে, হিন্দুসমাজে, যে ধৰ্ম্ম প্রচার করিবাব জন্য যত্ন করিয়াছিলেন, তাহা জানিতে হইলে, এই ‘অনুষ্ঠান’ পুস্তকখানি অবহিতচিত্তে পাঠ করা আবশ্যক। এতদ্ভিন্ন, ‘প্রার্থনাপত্ৰ’, ‘ব্রহ্মোপাসনা’ এবং ব্ৰাহ্মসমাজেব ট্রষ্ট ডীড পত্র পাঠ করিলে তাহাব প্ৰকৃত মত বিশেষরূপে জ্ঞাত হওয়া যায । এই ‘অনুষ্ঠান’ গ্রন্থে যে ব্রহ্মোপাসনার কথা রহিয়াছে, তাত বাজাব মতে শাস্ত্রানুযায়ী সনাতন উপাসনা । তিনি ইহাব শাস্ত্রীয় প্রমাণ দিয়াছেন। এই “আনুষ্ঠান” গ্রন্থে যে সকল কথা বলিয়াছেন, তাহার প্ৰত্যেক কথা, শাস্ত্রীয় প্ৰমাণ দ্বারা সমর্থনা করিয়াছেন । ব্ৰহ্মোপাসক ভিন্ন, অন্য অন্য উপাসকেরা যে বিচার্যতঃ ব্রহ্মোপাসনার বিরোধী হইতে পারেন না, পঞ্চম প্রশ্নের উত্তবে, ইহা তিনি কেমন সুন্দর রূপে প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন । তাহার পর, সপ্তম প্রশ্নোব উত্তরে, ইহাও দেখাইয়াছেন যে, অন্যান্য উপাসনাব প্ৰতি ব্ৰহ্মোপাসকেব বিদ্বেষ ও বিরোধাভাব থাকিতে পারে না । রাজার মতে ব্ৰহ্মোপাসক ও অন্যান্য উপাসকের মধ্যে বিদ্বেষ ও বিরোধাভাব থাকা উচিত নয় বটে, কিন্তু তাহদের মধ্যে যে প্ৰভেদ আছে, তাহা তিনি পরিষ্কাবরূপে প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। অষ্টম প্রশ্নের উত্তরে সেই প্ৰভেদ তিনি সুস্পষ্টরূপে দেখাইয়াছেন। “বুদ্ধি ভেদাং ন জনয়েৎ” এই বাক্যানুসারে তিনি বলিয়াছেন যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানের, প্ৰতি যত্নবান নিষ্কাম কৰ্ম্মীর বুদ্ধিভেদ জন্মাইবে না। কিন্তু