৩৪২ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত সম্বন্ধে যে পুস্তক প্রচার করেন, তাহাতেও তিনি প্ৰদৰ্শন করেন যে, দায়াধিকার সম্বন্ধীয় অন্যায় ব্যবস্থা, অনেক স্থলে সহমরণের একটি কারণ। আমরা এ বিষয়ে পরে বিশেষরূপে লিখিব । সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে পুস্তক প্রচার রামমোহন রায় কলিকাতায় আসিয়া সহমরণ প্রথার বিরুদ্ধে ইংরেজী ও বাঙ্গালা ভাষায় কথোপকথনচ্ছলে গ্ৰন্থ রচনা করিলেন এবং তাহ নিজ ব্যয়ে মুদ্রিত করিয়া দেশেৰ সৰ্ব্বত্র বিনামূল্যে বিতরণ করিলেন । রামমোহন রায় সহমরণ বিষয়ে ক্ৰমে ক্ৰমে তিনখানি পুস্তক প্রচার করেন। প্ৰথম দুইখানি সহমরণ প্ৰবৰ্ত্তক ও নিবৰ্ত্তক দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনচ্ছলে লিখিত। প্রথম পুস্তকের নাম ‘প্ৰবৰ্ত্তক ও নিবৰ্ত্তকের প্ৰথম সংবাদ’ । দ্বিতীয় পুস্তকের নাম ‘প্ৰবৰ্ত্তক ও নিবৰ্ত্তকের দ্বিতীয় সংবাদ” । । ‘বিপ্ৰনাম” এবং “মুগ্ধবোধচ্ছাত্ৰ’ নামধারী দুই ব্যক্তির পত্রের উত্তরে তিনি তৃতীয় পুস্তক লিখিয়াছিলেন। প্ৰথম পুস্তক ১৭৪০ শকে, ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে প্ৰকাশ হয়। ঐ বৎসব ৩০শে নবেম্বব, উহা ইংরেজীতে অনুবাদিত হয়। দ্বিতীয় পুস্তক, ১৭৪১ শকে, ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে প্ৰকাশিত হয়। ১৮২০ খ্ৰীষ্টাব্দে উহাব ইংরেজী অনুবাদও মুদ্রিত ও প্ৰকাশিত হইয়াছিল । রামমোহন রায় এই দ্বিতীয় পুস্তকের ইংরাজী অনুবাদ, মাকুইস অব হেষ্টিংসের সহধৰ্ম্মিণীব নামে উৎসর্গ করিয়াছিলেন। গবৰ্ণমেণ্ট এবং সাধারণতঃ রাজকৰ্ম্মচারীদিগের মতপরিবাৰ্ত্তনের জন্য, রামমোহন রায় তাহার প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় পুস্তকেরই ইংরেজী অনুবাদ প্ৰকাশ করেন। ১৭৫১ শকে, ১৮৩০ খ্ৰীষ্টাব্দে, তৃতীয় পুস্তক মুদ্রিত হইয়াছিল। এই পুস্তকত্ৰয়ের সারমর্ম এই যে, সমস্ত শাস্ত্ৰেই কাম্যকৰ্ম্ম নিন্দিত হইয়াছে। সহমরণ কাম্যকৰ্ম্ম, সুতরাং শাস্ত্রের প্রকৃত